করাচি থেকে ভারতে ফিরে প্রথমে'বজরঙ্গী ভাইজান'-কে দেখতে চান বাস্তবের 'মুন্নি' গীতা
ইন্দোর, ১৮ অক্টোবর : গীতা, ভারতীয় মূক ও বধির মেয়ে যে ১২ বছর আগে ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিল পাকিস্তানে। এবার তার বাড়ি ফেরার পালা। কিন্তু ভারতে পা রেখে প্রথম 'বজরঙ্গী ভাইজান'-এর সঙ্গে দেখা করতে চায় সে। কারণ সে জানে আজ বজরঙ্গী ভাইজানের জন্য ভারতে, নিজের বাড়িতে ফেরার অসাধ্যসাধন হয়েছে তাঁর জীবনে। [পাকিস্তানে ১৩ বছর আটকে ভারতীয় মেয়ে, প্রয়োজন একজন 'বজরঙ্গী ভাইজান'-এর]
বজরঙ্গী ভাইজান মানে সলমন খান। অনুবাদকের সাহায্য়ে করাচি থেকে স্কাইকে গীতার আবদার ভারতীয় বিমানবন্দরে নেমে প্রথম যে মানুষটিকে তিনি দেখতে চান তিনি হলেন সলমন খান। গীতা জানেন তার বাড়িতে ফিরে আসার পিছছেন সলমন অভিনীত বজরঙ্গী ভাইজান ছবিটির একটি বিশাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
এক নয়, একাধিকবার বজরঙ্গী ভাইজান ছবিটি দেখেছেন গীতা। বারবার নিজেকে ছবির সঙ্গে একাত্ম করে কেঁদেছেনও। টেলিভিশনের পর্দায়ে অনুবাদকের মাধ্যমে কথাও বলেছেন সলমনের সঙ্গে।
কিন্তু কীভাবে পাকিস্তানে পৌছে গেলেন তা নিয়ে এখনও পরিস্কারভাবে বর্ণনা দিতে পারেননি তিনি। সে জানিয়েছে তার শুধু এইটুকুই মনে আছে ভারতীয় সেনা তাঁর দিকে গুলি দেগেছিল, আর পাক সেনা তাঁকে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল। সে জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনা তাঁকে জোর করে নিয়ে গিয়েছিল। হাত দেখিয়ে নিজের নৃশংস সেনার অত্যাচারে তার অস্বস্তি বর্ণনা করতে চাইছিল সে। শূন্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুঁড়ে বোঝাতে চাইলন সলমন যেন তাদের সঙ্গে লড়াই করে। [বাস্তবে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ হয়ে উঠলেন 'বজরঙ্গী ভাইজান']
যদিও পাকিস্তান সম্পর্কে মনে কোনও রকমকের দুঃখ-রাগ-ক্ষোভ নেই গীতার। গীতা জানিয়েছে, নিজের সবচেয়ে কঠিন মূহূর্তে এখানকার মানুষ তার পাশে থেকেছে। সে ভাল খাবার পেয়েছে, পরার জন্য ভাল কাপড় পেয়েছে। তার কোনও আক্ষেপ নেই পাকিস্তান ঘিরে।
পাকিস্তানে তাঁর বালবিবাহ এবং তার সন্তান নিয়ে যে রটনা মিডিয়ায় রটেছে তা অযৌক্তিক, সেকথা নিজর মুখে জানিয়ে দিয়েছে গীতা। খুব শীঘ্রই গীতাকে ভারতে আনা হবে।