সারদা কেলেঙ্কারি ও বর্ধমান কাণ্ডের যোগসূত্র পেল আনআইএ
গোয়েন্দা সংস্থা আসলে সারদা মাস্টারমাইন্ড ও জেএমবি-র মধ্যে আনুমানিক ৭৫ কোটি টাকার লেনদেনের সূত্র খুঁজছে। শাকিল আহমেদ মারা গেলেও তার থেকে বাজেয়াপ্ত করা নথিপত্র অনুয়ায়ী সারদায় অভিযুক্তদের জন্য শাকিল ১৮ বার টাকা সরিয়েছে গত ৩ বছরে। এবং সেই টাকা কিস্তিতে বাংলাদেশে জমা রেখেছে।
নিকট যোগাযোগ
ইডি এবং সিবিআই সারদা কাণ্ডের তদন্ত করছে। দুই সূত্রেই জানানো হয়েছে, জেএমবি-র ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এবিষয়ে নিশ্চিত যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে দেওয়ার আগে বিশাল অঙ্কের টাকার একটা ক্ষুদ্র অংশ বাংলাদেশে ব্যঙ্কে রাখা হয়। এই টাকার কিছু অংশ যেখানে কুয়েত এবং সৌদি আরবে পৌছেছে, সেখানে বাকি টাকা সারদাতেই রয়ে গিয়েছে।
তবে জেএমবি এবং সারদার মধ্যে মধ্যস্থতাকারী কারা তা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। এই আন্দোলকে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ হাসানকে মুখ্য অভিযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। অভিযোগ নিজের জামাত যোগ কাজে লাগিয়ে হাসান সারদার টাকা বাংলাদেশ পৌছে দেওয়ার পথ দেখিয়েছিলেন।
তহবিল ট্র্যাকিং
টাকার এই লেনদেনে ভারত তো তদন্ত করছেই একইসঙ্গে বাংলাদেশও ভারতের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশও কুটনৈতিকভাবে ইমরানকে অভিযুক্ত করেছে। শাসক দল আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের উপস্থাপক হিসাবে তাঁকে চিহ্নিত করেছে। তাদের কথায় পশ্চিমবঙ্গে জামাত-এ-ইসলামির সপক্ষে প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইমরান।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাও ইমরানে জামাত সমর্থন বিষয়ে নিশ্চিত, তাঁর কার্যকলাপও সন্দেহের চোখেই দেখা হচ্ছে।
গোয়েন্দাদের কথায়, নিজেদের কার্যকলাপ সাফল্যের সঙ্গে চালালোর জন্য জেএমবি-র অর্থের প্রয়োজন ছিল। অন্যদিকে, সারদায় অভিযুক্তরা চাইছিল যাতে টাকা সরিয়ে ফেলা যায়। সবচেয়ে ভাল উপায় ছিল সন্ত্রাসবাদীরাই, কারণ টাকা পাচারের তাদের নির্দিষ্ট পথ রয়েছে। হাওয়ালা লেনদেনের জন্য কুখ্যাত জামাত, এবং খুব সবজেই তারা এই টাকা ভারতের বাইরে বের করে দিতে পারবে বিশ্বাস ছিল সারদা অভিযুক্তদের।