পায়ের আঙুলে ফিরল বাদ যাওয়া হাতের আঙুল
কারখানায় কাজ করার সময় ডান হাতের বুড়ো আঙুল খুঁইয়েছিলেন ঋষি কুর্নে। অস্ত্রোপচার করে পায়ের বুড়ো আঙুল বসানো হল সেখানে। মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা সম্প্রতি এই অস্ত্রোপচার করেন।
কারখানায় কাজ করার সময় ডান হাতের বুড়ো আঙুল খুঁইয়েছিলেন ঋষি কুর্নে। অস্ত্রোপচার করে পায়ের বুড়ো আঙুল বসানো হল সেখানে। মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা সম্প্রতি এই অস্ত্রোপচার করেন।
মুম্বইয়ের ফর্টিস হীরানন্দিনী হাসপাতালের উদ্যোগে যেন নতুন জীবন ফিরে পেলেন ঋষি কুর্নে। ডান হাতের বুড়ো আঙুল হারানোর পর থেকে বছর ৩৫-এর কুর্নে মাস তিনেক ধরে নানা অসুবিধার মধ্যেই ছিলেন। চিকিৎসকরা কাটা জায়গাটিকে চামড়া দিয়ে ঢেকে দেন। যদিও তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তিনি। খাওয়া থেকে বিভিন্ন রকমের কাজ, সবেতেই অসুবিধায় পড়ছিলেন তিনি।
সমস্যার সমাধানের জন্য নানা চেষ্টা করেছেন তিনি। ঘন ঘন গিয়েছেন হাসপাতালে। কথা বলেছেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। সেখানেই হাতের বুড়ো আঙুলের জায়গায় পায়ের বুড়ো আঙুল বসানো হয়।
মুম্বইয়ের ফর্টিস হীরানন্দিনী হাসপাতালের কসমেটিক সার্জেন বিনোদ ভিজ জানিয়েছেন, কোনও অসুবিধা ছাড়াই দিনের সাধারণ কাজ করতে পারবেন ঋষি কুর্নে।
তিনি বলেছেন, 'এটা খুবই জটিল পদ্ধতি। মাইক্রো সার্জিক্যাল প্রসেস। অপারেশনটা করতে ৬ ঘণ্টা সময় লেগেছে। জটিল পদ্ধতি কৌশলগত কারণে আরও জটিল হয়ে যায়। একটা এধরনের রোগীকে পদ্ধতিটা বোঝানো খুবই কঠিন।'
চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন,হাতের বুড়ো আঙুলটি খুব খারাপ অবস্থায় ছিল। তাই সেটিকে সেই জায়গায় লাগিয়ে দেওয়াটা খুব কঠিন কাজ ছিল। তবে পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে হাতে আঙুল তৈরি খুব সহজেই হয়ে গিয়েছে। রোগী এখন সব কাজই সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
অস্ত্রোপচারের পরবর্তী পর্যায়ে কর্মক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না বলে আশাপ্রকাশ করেছেন কুর্নে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একমাস পরেই কুর্নে ডান হাত দিয়ে খেতে পারবেন এবং হাতে কিছু ধরতে পারবেন। তবে ওই বুড়ো আঙুতে শক্তি পেতে কিছু সময় লাগলেও, আস্তে আস্তে তা স্বাভাবিকের পথে যাবে বলে জানিয়েছেন কসমেটিক সার্জেন বিনোদ ভিজ।
তিনি বা-হাত দিয়েই খেতেন বলে জানিয়েছেন কুর্নে। তবে তাতে নানা অসুবিধা হত। কাজে অসুবিধা হত। অস্ত্রোপচারের পর খুশি কুর্নে।