'হাসছে পাহাড়'! উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের সাতকাহন পেশ মমতা সরকারের
পাহাড়ে শিল্পোন্নয়নের হাতছানির মাঝেই নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কী কী রদবদল হয়েছে তার খতিয়ান পেশ করা হয়েছে।
ক্ষমতায় আসার পরই পাহাড়কে শান্ত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নানা উদ্যোগ নেয়। জিটিএ গঠন দিয়ে শুরু হয়েছিল। তারপরে আলাদা জেলা, নানা বোর্ড গঠন, বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং নিজে উপস্থিত থেকে প্রশাসনিক সভা করার মধ্য দিয়ে সমতলের উন্নয়নকে পাহাড়ে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগের ঝড়ঝাপ্টা সামলে পাহাড় মুখ তুলে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি রাজ্য সরকারের। পাহাড়ে শিল্পোন্নয়নের হাতছানির মাঝেই নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কী কী রদবদল হয়েছে তার খতিয়ান পেশ করা হয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাতে কী কী রয়েছে।
নতুন জেলা তৈরি
দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি কালিম্পংকে একটি পৃথক জেলা ও মিরিককে পৃথক মহকুমা হিসাবে ঘোষণার মধ্য দিয়ে পাহাড়ের উন্নয়নকে তরান্বিত করেছে তৃণমূল সরকার। সবমিলিয়ে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি হল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ার।
পৃথক পৃথক বোর্ড গঠন
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বিভিন্নতার কথা মাথায় রেখে ১৬টি ভিন্ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি গোষ্ঠীর সংষ্কৃতি ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করা নিয়ে রাজ্য সরকার সচেতন। এজন্য উন্নয়নমুখী নানা প্রকল্পে ৩২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
শিক্ষার প্রসার
সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, পেডং এবং গরুবাথানে দুটি ডিগ্রি কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া কালিম্পংয়ে একটি নতুন আইটিআই এবং একটি পলিটেকনিক কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে। গরুবাথানেও একটি আইটিআই কলেজ তৈরির কাজ চলছে। কার্শিয়াংয়ের ডাওহিলকে একটি শিক্ষাকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছে সরকার। এই অঞ্চলে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমালয়ান সেন্টার গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবা
সরকারি
উদ্যোগে
কালিম্পংয়ে
একটি
হাই
ডিপেন্ডেন্সি
ইউনিট
(এইচডিইউ)
গড়ে
তোলা
হয়েছে।
দার্জিলিংয়ে
৮টি
এসএনএনইউ
গড়ে
তোলা
হয়েছে।
শিলিগুড়ি
এবং
দার্জিলিংয়ে
২টি
সিসিইউ
গড়ে
তোলা
হয়েছে।
দার্জিলিং,
শিলিগুড়ি,
কার্শিয়াং
এবং
নকশালবাড়িতে
৪টি
ন্যায্য
মূল্যের
ওষুধের
দোকান
তৈরি
হয়েছে।
কার্শিয়াংয়ে
একটি
নতুন
মেডিক্যাল
কলেজ
গড়ে
তোলা
হচ্ছে।
এছাড়াও
১০০
বেডের
ইএসআই
হাসপাতাল
গড়ে
তোলা
হচ্ছে
শিলিগুড়িতে।
সড়ক উন্নয়ন
পাহাড়ের নানাবিধ উন্নয়নে মমতা সরকার অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। বিশেষ করে সড়ক পরিবহণে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনধরিয়া, পাগলাঝোরা, সেবক ও সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগকারী সড়ক সংষ্কার হয়েছে এবং অনেকগুলি সড়কের নির্মাণের কাজ চলছে। এর ফলে সিকিম, নেপাল ও ভূটানের সঙ্গে যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে।
পর্যটন উন্নয়ন
শত প্রতিরোধের মাঝেও পাহাড়ি এলাকায় পর্যটনের প্রসার ঘটাতে সরকার সচেষ্ট। কালিম্পং এবং সুখিয়াপোখরি ব্লকে ২টি সাংস্কৃতিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। দার্জিলিঙের টাইগার হিলে একটি পরিবেশবান্ধব টুরিস্ট লজ গড়ে তোলা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম টাইগার সাফারি হিসাবে শিলিগুড়ি রয়্যাল টাইগার সাফারি গড়ে উঠেছে।