প্রজাতন্ত্র দিবসের সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের আসলে কোথায় পার্থক্য জেনে নিন
রাত পোহালেই প্রজাতন্ত্র দিবস। কিন্তু এই প্রজাতন্ত্র দিবস বা সাধারণতন্ত্র দিবস সম্পর্কে আমাদের ধারণা আসলে কতটা ? এদিকে ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর সাত দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অনেকেই এখনও প্রজাতন্ত্র দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসের মাঝে পড়ে বিভ্রান্ত হন। গত বছর ১৫ ই আগস্টকে দেশের স্বাধীনতা দিবসকে তার "প্রজাতন্ত্র দিবস" হিসাবে উল্লেখ করার জন্য দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে একটি পিটিশনও জমা পড়ে।
পাশাপাশি স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে প্রজাতন্ত্র দিবসের পার্থক্য আসলে কোথায় তার উত্তর জানা আছে সকলের ? কেনই বা ২৬ জানুয়ারিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য তার উত্তর কি আছে আমাদের কাছে ? আসুন আজ এই সব বিষয়েই খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নিই।
২৬ জানুয়ারিই কেন প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়?
১৯৫০ সালে বাবাসাহেব আম্বেদকরের হাত ধরে দেশের সংবিধান তৈরি হওয়ার পর, তা কার্যকর করার জন্য একটি দিনের প্রয়োজন ছিল। সেই সময় বেছে নেওয়া হয় ২৬ জানুয়ারিকেই। এই কারণেই ২৬ জানুয়ারি দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস নামে পরিচিত। স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস দুই দিনেই ভারতে জাতীয় ছুটি থাকে।
প্রজাতন্ত্র দিবস আর স্বাধীনতা দিবসের মূলগত কি পার্থক্য রয়েছে?
১৯২৯ সালের বর্ষশেষে দেশের জওহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে 'পূর্ণ স্বরাজের' শপথ ঘোষণার পর ১৯৩০ সাল থেকে ২৬ জানুয়ারিকেই স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ঔপনিবেশিক শাসনের শিকল ভেঙে ভারত যেদিন বাস্তবেই স্বাধীনতার মুখ দেখল সেইদিনটি ছিল ১৫ই অগাস্ট। যার ফলে বদল হয়েছিল ২৬শে জানুয়ারির গুরুত্বও।
তারপর ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিচার করেই পরবর্তীকালে ২৬শে জানুয়ারি দেশের সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। এদিন নয়াদিল্লীতে রাজপথে প্রায় ২০০ অশ্বারোহীর সঙ্গে কুচকাওয়াজ মঞ্চে হাজির হন। তারপরই মহাসমারোহে শুরু হয়ে যায় জাতীয় সংগীত। উপস্থিত থাকেন দেশ বিদেশের তাবড় তাবড় নেতা মন্ত্রীরা। ভারতীয় সেনার সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে শুরু হয়ে যায় বছরের প্রথম প্রধানতম রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান।
এই বছর ভারত কত তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে চলেছে জানেন?
১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ভারত প্রথম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। পাশাপাশি ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করে দেশের মানুষ। চলতি বছরে ভারত ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে।