'চুলকানি চোর' -এর উপদ্রবে নাজেহাল এই এলাকা! চুরি করার কায়দা শুনলে চমকাতে হয়
নিত্যদিন চুরির নানাবিধ পায়তারা সামনে আসছে। অপরাধ দমনে প্রশাসন যতটা কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে ততটাই নতুন ধরনের অপরাধ প্রকাশ্যে আসছে।
নিত্যদিন চুরির নানাবিধ পায়তারা সামনে আসছে। অপরাধ দমনে প্রশাসন যতটা কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে ততটাই নতুন ধরনের অপরাধ প্রকাশ্যে আসছে। প্রযুক্তিনগরী বেঙ্গালুরুতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে অপরাধের নানান ঘটনা। এরমধ্য়ে রাস্তাচলতি মানুষের ব্যাগ ছিনতাই বা মোবাইল-টাকা-পয়সা লুঠ যেমন রয়েছে, তেমনই উপদ্রব বেড়েছে 'চুলকানি চোর'-দের। নাম শুনলে আবাক লাগলেও, এদের হাতসাফাইয়ের ধরণ জানলে চমকাতে হয়।
চুরির ধরন
এই নয়া চোরের দলের চুরির কায়দা খুবই সহজ। পথচলতি মানুষ দেখলেই , তাঁদের গায়ে আঁঠালো কোনও জিনিস এরা ছুঁড়ে দেয়। সেই জিনিস গায়ে লাগতেই প্রবল চুলকানি শুরু হয়ে যায় নিশানায় থাকা ব্যক্তিটির। তখনই চোরের দলের লোকজন এসে, তাঁকে চুলকানির জায়গা জল দেওয়ার পরামর্শ দেয়। আর ব্যক্তিটি যখন চুলকানি আর জল , যন্ত্রণা নিয়ে ব্যস্ত তখনই তাঁদের থেকে ফাঁকে তালে লুঠ হয় টাকা।
এই চোরেদের নিশানায় কারা থাকছেন?
এই ধরণের চোরেদের নিশানায় থাকছেন তাঁরাই যাঁদের যাতায়াত ব্যাঙ্কে প্রচণ্ড থাকে। এই চোরারে ব্যাঙ্কে যাওয়া গ্রাহকদের সম্পর্কে গোপনে তথ্য নিয়ে নেয়। বিশেষ করে যাঁদের গোল্প লোন থাকে, চোরেদের নিশানায় তাঁরাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে যান।
কয়েকটি ঘটনা
এই ঘরানার সাম্প্রতিক ঘটনাটি হয়েছে বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটিতে। সেখানে একজনের কাছ থেকে লুঠ হয়েছে ১.৫ লাখ টাকা। কেঙ্গারিতে লুঠ হয়েছে সোনার গয়না। ঘটনার অভিযোগ পেয়ে ময়দানে নেমেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
পুলিশের দাবি
পুলিশ বলছে, এই একই ধরণের ঘটনা, হায়দরাবাদ,ভদ্রাবতী, কোলার, চিত্রদূর্গ, তামিলনাড়ুর বিভিন্ন অংশে ঘটে চলেছে। এর নেপথ্যে কোনও বড় গ্যাং কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সমস্ত ক'টি জায়গাতেই অপরাধীদের হাতসাফাইয়ের ধরন এক। আর এই হাতসাফাইয়ের ধরন দেখেই গ্যাং -এর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।