কেরলের সবচেয়ে বড় উৎসব ওনাম নিয়ে এই তথ্যগুলি জানলে অবাক হবেন
কেরলে সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিবছর ওনাম উৎসব পালিত হয়।
কেরলে সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিবছর ওনাম উৎসব পালিত হয়। রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে এই উৎসব অত্যন্ত প্রিয়। কেরলের সবচেয়ে বড় উৎসব বলা হয় এটিকে। মোট দশদিন ধরে চলা এই উৎসবের প্রথম ও শেষদিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সবচেয়ে দক্ষিণে অবস্থিত রাজ্য কেরলের এই উৎসব নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
সব ধর্মের মিলন
কেরলের ওনাম উৎসব সবধর্মের মানুষের জন্য উৎসব। রাজ্যের সমস্ত ধর্মের, সমস্ত জাতের মানুষ এই উৎসবে শামিল হন। হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান সবার কাছেই এই উৎসব সমান বার্তা বয়ে আনে।
ওনাম উৎসব
পুরান অনুযায়ী এই উৎসবের সময়ে প্রতিবছরে একবার অসুর রাজ মহাবলী তাঁর নিজের প্রজাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সেইদিনেই কেরলে ওনাম উৎসব পালিত হয়। গণেশ চতুর্থীর মতোই এই উৎসবও দশদিনের হয়। এর প্রথম ও শেষ দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ওনামের মধ্যাহ্নভোজ
ওনামের দিন দুপুরে থাকে মহাভোজ। তাকে স্থানীয় মালয়ালম ভাষায় বলে সাদ্য। প্রতিটি বাড়িতেই তা বানানো হয়। একেবারে পঞ্চব্যঞ্জন সহকারে রান্না হয়। মোট ২৬টি পদ থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কলার চিপস, পাঁপড়, থোরান, মেজহুক্কুপুরাত্তি, কালান, ওলান, আভিয়াল, সাম্বার, ভাত, ডাল, এরিশেরি, রসম, আচার, বাটারমিল্ক, পায়েস ইত্যাদি।
প্রথা মেনে পোশাক
কেরলে ওনামের সময়ে প্রথা মেনে সকলে পোশাক পরেন। মহিলারা সোনালি পার দেওয়া সাদা শাড়ি পরেন। আর পুরুষরা লুঙ্গির মতো করে সাদা অথবা ঘিয়ে রঙের ধুতি পরেন যাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় মুন্ডু। আর উপরে জামা বা কুর্তা পরেন।
বিভিন্ন খেলা
কেরলে ওনামের সময়ে কায়ানকলি, আত্তাকালাম, কুটুকুটু, আম্বেয়াল ও তালাপ্পনথুকলি নামের অনেকগুলি খেলা চালু রয়েছে। তবে এই খেলাগুলি বেশ কসরতের ও আঘাত লাগার ভয় রয়েছে বলে আজকাল অনেকেই, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে খেলতে চান না। গ্রামাঞ্চলে অনেকে এই খেলায় উৎসাহী রয়েছেন। তাঁরাই প্রথা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
ফুলের আলপনা
অসুর রাজ মহাবলীকে অভ্যর্থনা জানাতে কেরলে ওনামের দিন প্রতিটি বাড়ির দরজায় ফুল দিয়ে আলপনা দেওয়া হয়। আজকাল অনেক জায়গায়, বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, অফিসে ওনামের সময় ফুল দিয়ে আলপনার প্রতিযোগিতাও হয়।
বিভিন্ন ধরনের নাচ
ওনাম উৎসবের সময়ে থিরুভাতিরাকলি, কুম্মাত্তিকলি, পুলিকলি, থুম্বি থুল্লাল ও কথাকলি-র মতো নৃত্যকলা পেশ করা হয়। শুধু মহিলারাই নন, পুরুষরাও এতে অংশ নেন। এই প্রতিটি নৃত্যকলাই একে অপরের চেয়ে আলাদা।