২০০৪ সালে পিতা এবং ২০১৯-এ পুত্র টিডিপি সুপ্রিমোর পরাজয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী হবেন
অন্ধ্রপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ফের এক রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ফের এক রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। তেলুগু দেশম পার্টি বা টিডিপি-র এই প্রবীণ নেতাকে কয়েকদিন আগেও সারা দেশে দৌড়তে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী-বিরোধী সরকার তৈরীর ঘটকালি করার জন্যে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে "বাঘিনী" বলেও তিনি প্রশংসা করেন। কিন্তু নিজের রাজ্যেই চন্দ্রবাবুর এখন তথৈবচ হাল। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৫টি আসনে এবং বিধানসভা নির্বাচনে ১৭৫টি আসনে টিডিপিকে ধরাশায়ী করেছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস -- যাদের নেতৃত্বে রয়েছেন জগন্মোহন রেড্ডি।
২০০৪ সালে চন্দ্রবাবু নাইডু হারেন; মুখ্যমন্ত্রী হন ওয়াইএসআর রেড্ডি
জগন যদি অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন (যেভাবে ঘটনা এগোচ্ছে, তাতে তা সময়ের অপেক্ষা) তাহলে এক টুকরো ইতিহাস রচিত হবে দক্ষিণের এই রাজ্যটিতে। আজ থেকে পনেরো বছর আগে তখনকার অবিভক্ত অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চন্দ্রবাবু বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের সম্মুখীন হন। এবং সেই শোচনীয় হারের পরে টিডিপি সুপ্রিমোর জায়গায় অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন কংগ্রেসের ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি। টিডিপির এক দশকের শাসনের পরে সেবারে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফেরে, ২৯৪টির মধ্যে ১৮৫টি আসন জিতে। টিডিপি পায় মাত্র ৪৭টি যা তাদের ১৯৯৯-র নির্বাচনে পাওয়া ১৮০টির থেকে ১৩৩টি কম। সেবার কেন্দ্রেও চন্দ্রবাবুর জোটসঙ্গী বিজেপি ক্ষমতা হারায়।
এবারে চন্দ্রবাবুর জায়গায় আসতে চলেছেন ওয়াইএসআর-এর পুত্র জগন
এবারেও চন্দ্রবাবু ফের আরেকবার পরাজয়ের দোরগোড়ায়। বিভক্ত অন্ধ্রের ১৭৫টি আসনের মধ্যে জগনের ওয়াইএসআর কংগ্রেস এগিয়ে ১৪৫টিতে আর টিডিপি সেখানে এগিয়ে মাত্র ৩৩টিতে। এই ধারা বজায় থাকলে চন্দ্রের গ্রহণের পরে ক্ষমতায় আসবেন আরও এক রেড্ডি এবং তিনি রাজশেখরেরই পুত্র জগন।
পিতা এবং পুত্র একই ব্যক্তির পরাজয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কোনও রাজ্যের, এমন দৃষ্টান্ত ভারতে খুব বেশি নেই।
[আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ: বিজেপি থাবা বসিয়েছে উত্তর ও পশ্চিমে; তৃণমূলের আশা দক্ষিণেই ]
[আরও পড়ুন:রাজধানী দিল্লিতে গেরুয়া ঝড়ে ৭-এ ৭ বিজেপি! পদ্ম-তুফানে সাফাই আপ-কংগ্রেস জোট ]