আধার কার্ডের তথ্য নষ্ট করে ফেলতে হতে পারে মোদী সরকারকে, আর কি বলছেন আইনজীবী প্রসন্ন এস
ব্যক্তিপরিসরের অধিকার নিয়ে আদালতে লড়াই করছেন বিশিষ্ট আইনজীবী প্রসন্ন এস। সপ্তাহখানেক আগেই ব্যক্তিপরিসরের অধিকার নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সম্প্রতি ব্যক্তিপরিসরকে মৌলিক অধিকারের তকমা দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এই মামলায় ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী প্রসন্ন এস। ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার মুখোমুখি হয়ে আধার কার্ডের বৈধতা নিয়েও আইজীবী প্রসন্ন এস তুলে ধরলেন নানা আপত্তিকর দিক।
ওয়ান
ইন্ডিয়া
বাংলা-
সম্প্রতি
সংবিধানের
২১
নং
ধারা
ও
৩
নং
অংশে
অন্তর্ভুক্ত
করে
ব্যক্তিপরিসরকে
মৌলিক
অধিকারের
স্বীকৃতি
দিয়েছে
সুপ্রিমকোর্ট।
এর
ফলে
আধার
কার্ডের
মাধ্যমে
অব্যক্তিগত
তথ্য
সংগ্রহ
করা
কতটা
যুক্তিপূর্ণ?
প্রসন্ন
এস-
সুপ্রিমকোর্ট
শুধুমাত্র
গোপনীয়তা
রক্ষাকে
মৌলিক
অধিকারের
স্বীকৃতিই
দেয়নি,
তার
ওপর
থাকা
বিধি-নিষেধকেও
কমিয়ে
ফেলতে
বলেছে।
২০১৬
পর্যন্ত
আধার
প্রকল্পের
কোনও
বিধিসম্মত
সমর্থন
ছিল
না।
২০১৬
পর্যন্ত
সংগ্রহ
করা
তথ্য
কোনও
আইনের
অন্তর্গত
ছিল
না
এটি।
সে
কারণেই
আমি
ব্যক্তিগতভাবে
মনে
করি,
আধারকার্ডের
মাধ্যমে
যে
সব
তথ্য
এখন
পর্যন্ত
সংগ্রহ
করা
হয়েছে,
তা
সরকারের
নষ্ট
করে
দেওয়া
উচিত।
এছাড়াও
ভারতে
শীঘ্রই
একটি
তথ্য
সুরক্ষা
আইন
আসতে
চলেছে।
এবিষয়ে
একটি
কমিটিও
গঠন
হবে
বলে
আশা
করা
যায়।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- আধার প্রকল্পের পক্ষে যুক্তি সাজিয়ে কেন্দ্রের দাবি, গরীব মানুষ বেঁচে থাকার অধিকারকে গোপনীয়তা রক্ষার থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সুপ্রিমকোর্টের রায়ের ফলে দেখা যাচ্ছে আদালত ও কেন্দ্রীয় সরকার ভিন্ন অবস্থানে দাঁড়িয়ে। কীভাবে দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছবে?
প্রসন্ন এস- কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান খুবই হাস্যকর। গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মৌলিক এবং গরীব মানুষ কখনও বলেনি যে তাদের গোপনীয়তার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রীয় সরকারই জোর করে মানুষকে গোপনীয়তা ও দারিদ্র্যের মধ্যে যে কোনও একটা বেছে নিতে বলছে। সরকার হয় গোপনীয়তার মানে বোঝে না অথবা গোপনীয়তা ও দারিদ্রের পার্থক্য বোঝে না। ব্য়ক্তি বিশেষে কেউ হয়ত গোপনীয়তা রক্ষাকে উচ্চবিত্তদের পছন্দ বলতেই পারে, কিন্তু আসল সত্য এটা নয়।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- রায়ে সুপ্রিমকোর্ট একজন মানুষের যৌনতার ওরিয়েন্টেশনকেও একান্তই ব্যক্তিগত বলেই ব্যাখ্যা করেছে। তার মানে কি অদূর ভবিষ্যতে ৩৭৭ ধারাও উঠে যেতে চলেছে ?
প্রসন্ন এস- ধারা ৩৭৭ উঠে যাওযার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। এটা খুবই ভাল যে মামলাটি সংসদের ভরসায় না রেখে আদালতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর জন্য খুশি হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- সুপ্রিমকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ে কি কোনও বিধি- নিষেধ থাকছে ?
প্রসন্ন এস- সরকার যদি কোনও বিধি- নিষেধ বসাতে চায়, তাহলে সরকারকে উপযুক্ত কারণ ও উদ্দেশ্য দর্শাতে হবে।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- সুপ্রিমকোর্টের এই রায়ের ফলে অন্য কোনও মামলা বা পূর্বের রায় কি প্রভাবিত হতে পারে?
প্রসন্ন এস- এই রায়ের ফলে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে প্রভাব পড়তে পারে। যেমন ডিএনএ প্রোফাইলিং বিলও সমস্যায় পড়তে পারে।