স্মার্টফোনের ব্যবহারে ক্রমেই 'হাইপার-অ্যাকটিভ' হচ্ছে মানুষ, দাবি গবেষণায়
দিনের মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই স্মার্টফোনে মুখ গুঁজে থাকলে সাবধান হোন। এতে হিতের চেয়ে বিপরীত বেশি হচ্ছে। ডিজিটাল টেকনোলজিকে আপন করে নিতে গিয়ে হাজারো সমস্যাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন আপনি। [মোবাইলে অতিরিক্ত আসক্তি? বাঁচতে চাইলে এই তথ্যগুলি জেনে নিন]
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা দিনের অনেকটা সময় স্মার্টফোনে মুখ গুঁজে কাটান, তাদের ক্ষেত্রে এডিএইচডি বা 'অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার'-এর লক্ষণ অনেক বেশি করে দেখা দেয়। [জেনে নিন কীভাবে মোবাইলের ক্ষতিকর বিকিরণ থেকে বাঁচবেন]
ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কোস্টাদিন কুশলেভ জানিয়েছেন, স্মার্টফোনে ইমেল, স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট সহ একাধিক অ্যাপের নোটিফিকেশন ক্রমেই আসতে থাকে। যা ক্রমেই আমাদের মনকে প্রভাবিত করে। [স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর সহজ উপায়]
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৯৫ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়েও মোবাইল ঘাঁটতে থাকেন। গড়ে দু'ঘণ্টারও বেশি সময় স্মার্টফোনের পিছনেই যায় বলে দাবি গবেষকরদের। এছাড়া যাদের ক্ষেত্রে মোবাইল রিংটোন বা ভাইব্রেট মোডে থাকে, তাদের অস্থিরতা অনেক বেশি থাকে, তুলনায় ফোন সাইলেন্টে রাখা ব্যক্তিদের চেয়ে। [আর মাত্র ৮ বছর আয়ু রয়েছে ইন্টারনেটের, বলছেন বিজ্ঞানীরা]
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এর ফলে অমনযোগী হওয়া, অস্থিরতা, মনসংযোগ না থাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাজ সঠিকভাবে না করতে পারা সহ একাধিক সমস্যার শিকার হচ্ছে মানুষ। তাই সুস্থ থাকতে প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার না করারই পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা।