গরম চায়ের কাপে লুকিয়ে মারণ ক্যানসার, গবেষণায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
গরম চায়ের কাপে লুকিয়ে মারণ ক্যানসার, বলছে গবেষণা। জানেন কি গরম চায়ের কাপে চুমুকের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ঘোর বিপদ। কিছু মানুষের জন্য তা প্রাণহানিকর হতে পারে।
শীত হোক বা গ্রীষ্ম, চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলতে যেকোনও মরশুমেই বাঙালি এক পায়ে খাড়া। শুধু বাঙালি বললে ভুল হবে, সারা ভারতেই মানুষের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে চা। সকালে গরম চা না দেখে অনেকেই দিন শুরু করেন না। তবে জানেন কি গরম চায়ের কাপে চুমুকের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ঘোর বিপদ। কিছু মানুষের জন্য তা প্রাণহানিকর হতে পারে।
সারা বিশ্বে চা জনপ্রিয়
সারা বিশ্বে ২০১৬ সালে ২৯ লক্ষ টন চা পান করতে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে। পলিফেনলের মতো যৌগ চায়ের স্বাস্থ্যগত উপযোগিতাও বাড়িয়ে তুলেছে।
চা নিয়ে সতর্কবাণী
চিনের বেজিং শহরের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, চায়ের একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা একটি অংশের মানুষের স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা বিপদ ইতিমধ্যেই রয়েছে।
চায়ে ক্যানসারের ঝুঁকি
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব এপিডেমিওলজি ও বায়োস্ট্যাটিসটিক্স বিভাগের গবেষক ছাত্র জুন এলভি খুঁজে পেয়েছেন যে, গরম চা খেলে খাদ্যনালী বা অন্ননালীর ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
অন্যতম ধরনের ক্যানসার
বিশ্ব ক্যানসার গবেষণা ফান্ডের মতানুযায়ী, এই ধরনের খাদ্যনালীর ক্যানসারের পোশাকি নাম ইসোফাগেল ক্যানসার। মুখ থেকে যে নালী পেট পর্যন্ত গিয়েছে, যেটি খাবারকে পেট পর্যন্ত পৌঁছে দেয় সেখানেই এই রোগ হয়। ক্যানসারের আটটি ধরনের মধ্যে এটি অন্যতম।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে
২০১৪ সালে ৪৫, ৫৪৭ জনের এই ধরনের ক্যানসার ছিল। ২০১৭ সালে এসে নতুন করে আরও ১৬, ৯৪০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এর পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ গরম চা পান করাই, বলছেন গবেষকরা।
চা পানে বিপদ
কাদের বেশি হয় এই রোগ? চিকিৎসকেরা বলছেন, যে ব্যক্তিরা বেশি করে ধূমপান করেন বা মদ্যপানে অভ্যস্ত, তাদের ক্ষেত্রে খাদ্যনালী দিয়ে গরম চা অনবরত গেলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
চিনে আক্রান্ত বেশি
চিনের মানুষ অনেক বেশি চা পানে অভ্যস্ত। তাই এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রয়েছে চিনে। গবেষকরা এমনটাই জানিয়েছেন। তার আরও একটি কারণ হল, শুধু চা নয়, চিনের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ মদ্যপান ও ধূমপানেও অভ্যস্ত।