এই দুই মামলায় নেতৃত্ব দিয়ে ভারতের আইনি ইতিহাসে অমর হয়ে গেলেন জেএস খেহর
তিন তালাক প্রথা অসাংবিধানিক। গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। এই দুই মামলায় যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি জেএস খেহর।
তিন তালাক প্রথা অসাংবিধানিক। গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। এই দুই ঐতিহাসিক রায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে ঘোষণা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। দুটি রায়ই আমজনতার জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে। ফলে এই দুই মামলার রায়দান ঐতিহাসিক হওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণও বটে।
আর এই দুই মামলায় যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি জেএস খেহর। আর মাত্র কয়েকদিন পরে তিনি অবসর নেবেন। তার আগে দুটি রায়দানে নেতৃত্বে দিয়ে তিনি আইনজ্ঞ হিসাবে অসাধারণ কাজ করেছেন।
[আরও পড়ুন : গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নিয়ে রায় দেওয়া ৯ বিচারপতির বেঞ্চ নিয়ে জেনে নিন একনজরে]
জেএস খেহর দেশের ৪৪তম মুখ্য বিচারপতি হিসাবে শপথ নেন। শিখ সম্প্রদায় থেকে কেউ এই প্রথম দেশের প্রধান বিচারপতি হলেন। তিনি প্রধান বিচারপতি হিসাবে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশন- এর নেতৃত্বে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন : গোপনীয়তা রক্ষায় ঐতিহাসিক রায়, আধারের ভবিষ্যৎ কি 'আঁধার'-এ]
এর আগে তিল তালাক বিলুপ্ত হোক, এই ভাবনার বিপক্ষে তিনি রায় দেন। তবে গোপনীয়তার অধিকার রক্ষা মামলায় নয় বিচারপতির প্রত্যেকেই সর্বসম্মতভাবে এটিকে মৌলিক অধিকার বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পরপর এই দুটি মামলায় নেতৃত্ব দিয়ে বিচারপতি জেএস খেহর ভারতীয় আইনের ইতিহাসে স্মরণীয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে স্থান করে নিলেন।
এর আগে খেহরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে দূরে সরিয়ে অরুণাচলপ্রদেশে কংগ্রেসের সরকারকে ফিরিয়ে এনেছে। এছাড়া তাঁর নেতৃত্বেই সাহারার মালিক সুব্রত রায়ের মামলা চলছে। তিনি ২৮ অগাস্ট ২০১৭-য় অবসর নিলে বেঞ্চে অন্য কোনও বিচারপতি নিযুক্ত হবেন।