(ছবি) ৫ সবুজ তারাদের মধ্যে উজ্জ্বলতম চিরঞ্জিত, বিজেপির 'হেভিওয়েট' তারকারা ডাহা ফেল
কলকাতা, ২০ মে : উনিশে মে-র সবুজ ঝড়ে পাল তুলেছেন তৃণমূল শিবিরের ৫ তারকা নেতা। চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবশ্রী রায়, ইন্দ্রনীল সেন ও ব্রাত্য বসু।[উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের জয়ের তালিকা একনজরে]
অন্যদিকে বাংলায় বিজেপির ফল আশাতীত ভাল হলেও বিজেপির টিকিটে দাঁড়ানো ৪ তারকা প্রার্থী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়,সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্যে শেষ হাসি জোটেনি। তবে তারকা প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে সফল চিরঞ্জিত। বারাসতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরোয়ার্ড ব্লকের সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়কে ২৪,৯৯৯ ভোটে হারিয়েছেন। [মমতা মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া এই বিধায়কেরা এবারে ভোটে হেরে গিয়েছেন]
তবে তৃণমূলের ঝোড়ো ফলাফলেও লাভ তুলতে পারেননি সবুজ শিবিরের দুই নামি তারকা প্রার্থী। প্রথমজন টলিউড জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী এবং দ্বিতীয়জন ভূমি ব্যান্ডের জনপ্রিয় ভোকালিস্ট সৌমিত্র রায়। লোকসভা ভোটের পর বিধানসভা ভোটে এই প্রথবার ভোটে লড়া সৌমিত্রর। এবারে চাঁচোল থেকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে টলিউডে বহুদিন কাটালেও রাজনীতিতে আনকোড়া সোহম দাড়িয়েছিলেন বড়জোড়া থেকে। মাত্র ৬১৬ ভোটে তিনি হেরেছেন। [উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের পরাজয়ের তালিকা একনজরে ]
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (তৃণমূল কংগ্রেস)
তবে তারকাদের মধ্যে উজ্জ্বলতম তারা এবার কিন্তু চিরঞ্জিতই। যদিও জয়ের ব্যবধান এবার তার আগের থেকে কমেছে, তবুও তারকা প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে চিরঞ্জিতই জিতেছেন। ভোট কমার প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, "ভোট কমাটা স্বাভাবিক, কারণ আগের বার কংগ্রেসের ভোটটাও আমাদের সঙ্গে ছিল, এবার তো আর তা ছিল না।"
নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল)
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। চৌরঙ্গী কেন্দ্র থেকে ১৩,২১৬ ভোটে জিতেছেন নয়না। নয়নার কথায়, "মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বহু কুকথা বলা হয়েছে, অপপ্রচার, কুৎসা হয়েছে। আমরা ভোটের মাধ্যমেই তার জবাব দিয়েছি।"
ব্রাত্য বসু (তৃণমূল)
নয়নার পরে, তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ব্রাত্য বসু। ব্রাত্য বসু দমদম থেকে ৯,৩১৬ ভোটে হেরেছেন। তবে ব্রাত্যর জয়ের ব্যবধান কমেছে অনেকটাই। ২০১১ সালে তিনি ৩১,৪৯৭ ভোটে জিতেছিলেন। তাঁর ভোট কমার জন্য অবশ্য ব্রাত্যবাবু মিডিয়ার একাংশের একতরফা বিরোধিতাকেই দায়ী করেছেন।
দেবশ্রী রায় (তৃণমূল কংগ্রেস)
২০১১ সালে রায়দিঘি থেকে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট সিপিএম নেতাকে হারিয়ে যখন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় বিধানসভায় পৌঁছিছিলেন তখন সবাই অবাক হয়েছিলেন। এবারও কান্তি-দেবশ্রীর লড়াই হবে শুনে সবাই বলেছিলেন আগের বার তৃণমূলের হাওয়ায় বেরিয়ে গিয়েছিলেন দেবশ্রী এবার আর ডাল গলবে না। কিন্তু এবারও ১২২৯ ভোটের ব্যবধানে আবারও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে পরাস্ত করলেন দেবশ্রী।
ইন্দ্রনীল সেন
সবশেষে ইন্দ্রনীল সেন, বৃহস্পতিবার গণনায় কয়েক রাউন্ডে পিছিয়ে থাকলেও পরের দিকে লিড ধরে নেন তিনি। এবং শেষে চন্দরনগরের আসন থেকে তিনি জিতেও যান। তবে এই ইন্দ্রনীল কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর থেকে হেরেছিলেন। ইন্দ্রনীলের কথায়, "আমি ২০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমার জয় নিয়ে। আমি সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম রাজনৈতিক মতাদর্শে আমরা ভিন্ন হলেও সংবিধানের এক পরিবারেরই সদস্য আমরা। আর মানুষ আমার সেই প্রচেষ্টায় সাড়া দিয়েছেন।"
সৌমিত্র রায় (তৃণমূল কংগ্রেস)
তবে তৃণমূলের ঝোড়ো ফলাফলেও লাভ তুলতে পারেননি সবুজ শিবিরের দুই নামি তারকা প্রার্থী। প্রথমজন টলিউড জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী এবং দ্বিতীয়জন ভূমি ব্যান্ডের জনপ্রিয় ভোকালিস্ট সৌমিত্র রায়। লোকসভা ভোটের পর বিধানসভা ভোটে এই প্রথবার ভোটে লড়া সৌমিত্রর। এবারে চাঁচোল থেকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
সোহম চক্রবর্তী
অন্যদিকে টলিউডে বহুদিন কাটালেও রাজনীতিতে আনকোড়া সোহম দাড়িয়েছিলেন বড়জোড়া থেকে। মাত্র ৬১৬ ভোটে তিনি হেরেছেন।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (বিজেপি)
বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় দলের মুখ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছিল রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। কিন্তু তৃণমূলের আনকোড়া খেলোয়াড় নেতা লক্ষ্মীরতম শুক্লর কাছে পরাজিত হয়েছেন রূপা।
লকেট চট্টোপাধ্যায় (বিজেপি)
লকেট চট্টোপাধ্যায় একসময়ে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ময়ুরেশ্বর থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং হেরে যান।
জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (বিজেপি)
এক সময়ে টলিউডে দাপিয়ে অভিনয় করেছিলেন। এখন রাজনীতিতে। লোকসভা ভোটেও তিনি হেরেছিলেন। এবারও ফল একই।
সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় (বিজেপি)
টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ সুমন। তবে জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে পারেননি। ফলে এবার হারতে হয়েছে তাঁকে।