চারা ঘোটালা-ই রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করে দিল লালুর
কয়েকবছর বিহার শাসন করা পর সামনে এল পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলা। ব্যস এই মামলায় দুই দশক পরে কাল হল লালুর।
সত্তরের দশকে ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও নবীন সাংসদ হিসাবে যোগদান। লালুর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু হয়েছিল একেবারে চমকপ্রদভাবে। তারপরে ১৯৯০ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বনে যান জনতা দলের এই নেতা।
তারপরে বেশ কয়েকবছর বিহার শাসন করা পর সামনে এল পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলা। ব্যস এই মামলায় দুই দশক পরে কাল হল লালুর। পরপর দুটি চারা ঘোটালা মামলায় সাজা পেয়ে এবার রাজনৈতিক জীবন সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে আরজেডি সুপ্রিমোর।
সত্তর বছর বয়সী লালুকে এদিন ফের সাড়ে তিন বছরের সাজা শোনানো হয়েছে। যার অর্থ আগামী ছয় বছর লালু কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না সংসদ ও সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম মেনে। ফলে ছাড়া পাওয়ার পর লালুর বয়স হয়ে যাবে প্রায় ৭৪। এবং মোট ছয় বছরের জনিয ভোটে না লড়তে পারলে তারপরে গিয়ে লালুর শরীর কেমন থাকবে তার উপরে সমস্তটাই নির্ভর করবে।
তবে বিপদের এখানেই শেষ নয়। লালু দুটি মামলায় একটি ২০১৩ সালে ও একটি ২০১৭ সালে সাজা পেলেও আরও চারটি পৃথক মামলা রয়েছে। সেগুলিতে সাজা পেলে সারাজীবন লালুকে জেলেই থাকতে হবে।
এর পাশাপাশি ২০০৫ সালের রেলের টেন্ডার কেলেঙ্কারি, ২০১৭ সালের আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় গোটা যাদব পরিবার ফেঁসে রয়েছে। করফাঁকির মামলা তো সঙ্গে রয়েইছে। এই সব মামলার কোনওটা সিবিআই তো কোনওটা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দেখাশোনা করছে। ফলে লালু এই মামলায় জেলে গেলেও ভবিষ্যতে আরও হয়রানি অপেক্ষা করে রয়েছে।
আর একটি মামলায় কয়েক বছরের মধ্যে সাজা হওয়া মানে লালুপ্রসাদ যাদবের রাজনৈতিক কেরিয়ারের পুরোপুরি অন্তর্জলি যাত্রা সাঙ্গ হবে।