ভারতের আলফোনসো আম, সবজি নিষিদ্ধ করল ইউরোপীয় ইউনিয়ন
২৮টি দেশের সংগঠন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, ভারতের আলফোনসো আম আর ঢুকতে দেওয়া হবে না ইউরোপের বাজারে। পাশাপাশি, বেগুন, কচু, করলা এবং চিচিঙ্গাও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে পুনর্বিবেচনা করা হবে।
ব্রিটিশ সরকারের তরফেই প্রথম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশ মেনে নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রসঙ্গত, ফি বছর ভারত থেকে এক কোটি ষাট লক্ষ আম আমদানি করে শুধু ব্রিটেন। এর বাজারমূল্য বছরে ৬০ লক্ষ পাউন্ড। ইউরোপের বাকি দেশ ধরলে পরিমাণ ও অর্থমূল্য আরও বেশি হবে। অভিযোগ, আলফোনসো আম ও অন্যান্য সবজিতে কীটনাশক ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে মাছি, পোকা ইত্যাদি। ২০৭টি পেটি থেকে এমন অভিযোগ এসেছে।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সিদ্ধান্তের জেরে ক্ষুব্ধ ব্রিটেন-সহ কয়েকটি দেশের ব্যবসায়ীরা। কারণ ভারতের আলফোনসো আম স্বাদে-গন্ধে ভুবনমোহিনী। ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ইত্যাদি দেশে শ্বেতাঙ্গ খদ্দেররা ফলের বাজারে ভিড় জমান আলফোনসো আমের খোঁজে। অন্যান্য সবজি থেকে তৈরি হয় নানা প্রক্রিয়াজাত খাদ্য। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে বিপুল ক্ষতি হবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাংসদ কিথ ভাজ বলেছেন, "এটা কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ। অফিসারগুলো পাগল হয়ে গিয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতীয় আম আসছে ব্রিটেনে। যারা এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হল, তাদের মতামত নেওয়া উচিত ছিল। আমি বিষয়টা নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কথা বলব।" তিনি ইতিমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্তাদের চিঠি লিখেছেন।
তবে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক, ভেজালের দায়ে এর আগেও বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতের নানা জিনিস। যেমন ২০১৩ সালে জাপান বিপুল পরিমাণ চিংড়ি মাছ ফেরত পাঠিয়ে দেয়। তার কয়েক বছর আগে আমেরিকা ভারত থেকে গুঁড়ো লঙ্কা নিতে অস্বীকার করে। অভিযোগ উঠেছিল, লঙ্কা গুঁড়োতে ইটের গুঁড়ো মেশানো আছে।