মর্মান্তিক, পথ দুর্ঘটনায় এক পরিবারের চার জন সহ মৃত পাঁচ
সপ্তাহের প্রথম দিনেই বড় দুর্ঘটনা ঘটল রাজ্যে। বর্ধমানে রাস্তায় ঘটল বড় দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন পাঁচ জন। যার মধ্যে একই পরিবারের চারজন ছিল বলে খবর। পূর্ব বর্ধমানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ওই পাঁচ জনের মধ্যে আর একজন হল টোটোচালক। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক বি-তে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আজ সকালে বর্ধমান থানা এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল চার জন যাত্রী সহ একটি টোটো।
জানা গিয়েছে যে , একটি টোটোর সঙ্গে ডাম্পারের সংঘর্ষ হয় ঝিঙুটি মোড়ের কাছে । টোটোর যাত্রী একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর। টোটো চালকেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা ঘটে এদিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ। টোটোতে চড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক বি-র উপর দিয়ে একই পরিবারের ৪ জন মাছ ধরতে যাচ্ছিল। এই খবর জানা যায় স্থানীয় সূত্রে। জানা গিয়েছে যখন টোটোটি ঝিঙুটি মোড়ের কাছে ঠিক তখনই উল্টোদিক থেকে এসে ধাক্কা মারে পাথর বোঝাই ডাম্পার । ৫ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এক পরিবারের ৪ জন তার মধ্যে ছিল বলে জানা যায়। টোটো চালকেরও মৃত্যু হয়েছে । বর্ধমান থানা ও দেওয়ান দিঘি থানার পুলিশ এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় । এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঘটনা ঘিরে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
যথারীতি ঘটনার পরেই সেখান থেকে চম্পট দিয়েছে ডাম্পারের চালক ও খালাসি। আটক করা হয়েছে ঘাতক ডাম্পারটিকে। সপ্তাহের প্রথম দিন। তার উপর জাতীয় সড়কের উপর এমন দুর্ঘটনা। স্বাভাবিক ভাবেই এর জেরে সকাল থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকার পরিস্থিতি। যানজট হয় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে । নিহতদের নাম কী? পুলিশ জানিয়েছে এঁদের নাম মামণি সাঁতরা ও সীমা সাঁতর, গঙ্গা সাঁতরা, সরস্বতী সাঁতরা। গঙ্গা ও সরস্বতী দুই বধূ। এরা মামণি ও সীমাকে নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন। এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। তারপর ওই ঝিঙুটি মোড়ের কাছে এসে দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যান টোটো চালইক সহ পাঁচ জন।
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে পূর্ব বর্ধমান জেলায় একটি ট্রাকের সাথে তাদের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন শিশু সহ একটি পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছিল। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, দেওয়ানদিঘি থানার সীমানার অধীনে কামনারা এলাকায় বর্ধমান-কাটোয়া রোডে দুর্ঘটনাটি ঘটে, যখন গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়।গাড়ির চালকসহ ১১ জন আরোহীকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছয়জন আহত ব্যক্তি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিল। নিহতরা সবাই কলকাতার দমদম বিমানবন্দর থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার সৈয়দপাড়ায় তাদের বাড়িতে যাচ্ছিল। রাশেদ শেখ (৬১), সাইনুর খাতুন (১৭), সোনালী খাতুন (৯), আরিয়ান শেখ (৩) ও সায়ান শেখের (৩) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বলে জানা যায়। ওই কর্মকর্তা জানান, ট্রাক চালক গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।