সৌরভ ও জয় কি থাকছেন বিসিসিআইয়ের পদে? কী পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের?
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ যাতে কুলিং অফ পিরিয়ডের নিয়মের আওতার বাইরে থেকে স্বপদে বহাল থাকতে পারেন সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিসিসিআই। এমনিতে বছর দুই আগেই বিসিসিআই এই আবেদন করেছিল। কিন্তু প্রথমে করোনার জেরে শুনানি পিছিয়ে যায়। তারপরও বিষয়টি গতি পাচ্ছিল না। সম্প্রতি শীর্ষ আদালতকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়েছিল বিসিসিআইয়ের তরফে। তার শুনানি ছিল আজ।
শুনানি আগামী সপ্তাহে
ইতিমধ্যে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও সৌরভ ও জয় যাতে বিসিসিআইয়ে থাকতে না পারেন সেজন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আজ সুপ্রিম কোর্টে বোর্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী ও হিমা কোহলির বেঞ্চে আজ বিষয়টি ওঠে। বিসিসিআই নিজেদের সংবিধান সংশোধন করে সৌরভ-জয়কে স্বপদে বহাল রাখতে চাইছে। সেই আর্জিকে সমর্থন জানিয়েছে বিসিসিআই অনুমোদিত রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিও। সৌরভ ও জয়ের বোর্ডের পদে মেয়াদ ফুরানোর কথা সেপ্টেম্বরে। তবে গোটা বিষয়টিই নির্ভর করবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর।
অ্যামিকাস কিউরি
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পি এস নরসিমার পরিবর্তে এই বিষয়ে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিযুক্ত করা হলো সিনিয়র বিচারপতি মনিন্দর সিংকে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েঠে ২৮ জুলাই, অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত নিতেই আদালতের বন্ধু বা অ্যামিকাস কিউরি নিযুক্ত করা হলো। এর আগে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন পিএস নরসিমহা, যিনি নিজেই এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত হয়েছেন।
বোর্ড কী চাইছে
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিচারপতি আরএম লোধা কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছিল, একটানা কেউ বিসিসিআই ও রাজ্য সংস্থার ক্রিকেট প্রশাসনে টানা থাকলে ছয় বছর পর তাঁকে বাধ্যতামূলক তিন বছরের কুলিং অফে যেতে হবে। কিন্তু বোর্ড সভাপতি বা সচিব পদে কুলিং অফের নিয়মটি তুলে দিতে চাইছে বিসিসিআই। সেই জন্য প্রয়োজন সংবিধান সংশোধন। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া তা সম্ভব নয়। লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, যে সংবিধান সংশোধন হয়েছিল তাতে বলা হয়েছে বিসিসিআইয়ে বা বোর্ড ও রাজ্য সংস্থা মিলিয়ে ছয় বছর টানা পদে থাকলে তাঁকে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে।
সৌরভের তৃপ্তি
বোর্ডের পদে বসার আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি সচিব ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়শনের দায়িত্ব পালনের পর বিসিসিআইয়ে আসেন জয় শাহ। ওয়ানইন্ডিয়া বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, এখনও অবধি বোর্ড সভাপতি হিসেবে তিনি তৃপ্তি পেয়েছেন ভারত ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় ভালো খেলে সিরিজ জেতায়। সেই সঙ্গে আইপিএলের মিডিয়া স্বত্বের রেকর্ড দর ওঠাতেও খুশি মহারাজ। কেন না, এতে ক্রিকেট পরিকাঠামো উন্নতির কাজেও সুবিধা হবে।