ফরাসি ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছেই ওসাকা ইস্যুতে সরব জকোভিচ, বললেন নিজের কথাও
ফরাসি ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছেই ওসাকা ইস্যুতে সরব জকোভিচ, বললেন নিজের কথাও
খুব সহজেই ফরাসি ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছালেন নোভাক জকোভিচ। প্রথম রাউন্ডে স্ট্রে সেটের অনায়াস জয় হাসিল করার পর নাওমি ওসাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলেছেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। আবেগপ্রবণ গলায় বলেছেন যে তিনি জাপানি টেনিস তারকার কষ্ট কিছুটা হলেও বোঝেন। এ ব্যাপারে আর কী কী বলেছেন নোভাক।
জকোভিচের সহজ জয়
ফরাসি ওপেনের প্রথম রাউন্ডে অবাছাই আমেরিকার টেনিস স্যান্ডগ্রেনের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন নোভাক জকোভিচ। ম্যাচের প্রথম ৬-২ গেমে জেতেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। দ্বিতীয় সেট ৬-৪ গেমে জেতেন বিশ্বের জকোভিচ। তৃতীয় সেটেও নোভাকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি মার্কিনি টেনিস তারকা। ওই মোকাবিলা ৬-২ গেমে জিতে ফরাসি ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছান সার্বিয়ান কিংবদন্তি।
ওসাকার পাশে জকোভিচ
নাওমি ওসাকার ফরাসি ওপেন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে পরোক্ষে সমর্থনই করেছেন নোভাক জকোভিচ। টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ জিতে সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা বলেছেন যে তিনি ওসাকার আবেগ এবং বেদনায় শরিক। এই সময় খেলোয়াড়দের মনের ওপর দিয়ে কী যায়, তা তিনি ভালই বোঝেন বলে জানিয়েছেন নোভাক। উল্লেখ্য দুর্ঘটনাবশত লাইন আম্পায়ারের গায়ে বল ছুঁড়ে মারার জেরে গত বছরের মার্কিন ওপেন থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন জকোভিচ। ফরাসি ওপেন থেকে ওসাকার সরে যাওয়ায় সেই বেদনাময় মুহুর্তগুলো মনে পড়ছে কিংবদন্তির। সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের মার্কিন সময়ে তাঁর মনে যে হতাশা গ্রাস করেছিল, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। সেসময় কীভাবে তিনি নিজেকে সংবাদমাধ্যমের থেকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করতেন, তা জানিয়েছেন জকোভিচ।
সংবাদমাধ্যমই একমাত্র পথ নয়
নোভাক জকোভিচের কথায়, সংবাদমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই রয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে খেলোয়াড়রা ফ্যানদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারেন। তা বলে সংবাদমাধ্যই যে সংযোগরক্ষার একমাত্র পথ, তা এ যুগে আর ভাবার কোনও কারণ আছে বলে মনে করেন না নোভাক। তাঁর কথায়, অধিকাংশ খেলোয়াড়দের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তার মাধ্যমে সহজেই ফ্যানদের সঙ্গে অনায়াসে সংযোগরক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস। নাওমি ওসাকা সেই মাধ্যমকেই ব্যবহার করতে পারেন বলে পরামর্শ জকোভিচের।
সরে গিয়েছেন ওসাকা
ফরাসি ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে যান ওসাকা। ম্যাচ শেষে টুর্নামেন্টের রীতি ভেঙে নিজের কথামতো সাংবাদিক বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন জাপানি টেনিস তারকা। এর জন্য ওসাকাকে ১৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও নিজের অবস্থান থেকে নড়তে রাজি ছিলেন না ওসাকা। তাঁর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন খোদ ফরাসি টেনিস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট গিলেস মরেটন। ফরাসি ওপেনের আয়োজক কমিটি ও গ্র্যান্ড স্ল্যাম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর এই ইস্যুতে আলোচনাও হয়েছিল। এরপর এক বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে নিয়ম ভাঙার দায়ে ওসাকাকে টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। তার আগে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেই সরে যান ওসাকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুদীর্ঘ আবেগপ্রবণ পোস্ট লেখেন জাপানি টেনিস তারকা। যা ভাইরাল হয়েছে।