IPL 2022: সৌরভের বিসিসিআইয়ের উপর ক্ষিপ্ত শেহওয়াগ, ডিআরএস বিতর্কে বোর্ডের পাশে থেকে হর্ষ দিলেন কোন যুক্তি?
চেন্নাই সুপার কিংস বিদায় নিয়েছে আইপিএল থেকে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের জেরেই পরাজয় বলে মেনে নিয়েছে সিএসকে শিবির। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংসের সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন পরিকাঠামো নিয়ে। কেন না, প্রথন ১০ বলের মধ্যেই তিনটি উইকেট হারিয়েছিল ধোনির দল। কিন্তু লেগ বিফোর হওয়ার পর আম্পায়ারদের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি ডেভন কনওয়ে ও রবিন উথাপ্পা। ডিআরএসের প্রযুক্তি তখনও ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত না থাকায়।
|
ওয়াংখেড়েতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট
চেন্নাই সুপার কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে টসের ঠিক আগে একটি বাতিস্তম্ভের আলো নিভে যায়। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দাবি করা হয়, শর্ট সার্কিটের জেরে বিপত্তি। টস কয়েক মিনিট পিছিয়ে গেলেও বড় বিপত্তি হয় খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু হতেই। দ্বিতীয় বলেই ফর্মে থাকা ডেভন কনওয়ে লেগ বিফোর হন ড্যানিয়েল স্যামসের বলে। বল লেগ স্টাম্পের বাইরে যাচ্ছিল আঁচ করে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় তাঁকে ডিআরএসের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু কনওয়ে তা নিতে পারেননি। কারণ, আম্পায়ার জানান, এই প্রযুক্তির ব্যবহার ওই মুহূর্তে মিলবে না। ১.৪ ওভারে জসপ্রীত বুমরাহর বলে লেগ বিফোর হয়ে রবিন উথাপ্পাও রিভিউ নিতে পারেননি। একই কারণে দুই ক্রিকেটার দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সমর্থকরা। চলতে থাকে বিসিসিআইয়ের মুণ্ডপাতও।
|
বিসিসিআইয়ের সমালোচনা শেহওয়াগের
চেন্নাই সুপার কিংস হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ডিআরএস-কাণ্ডটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন। নিজের ক্ষোভ গোপন রাখেননি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, চেন্নাই সুপার কিংস বঞ্চনার শিকার হয়েছে। ক্রিকবাজকে শেহওয়াগ বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ডিআরএস নেওয়া যাচ্ছে না, এটা বিস্ময়কর! এত বড় লিগ চলছে। জেনারেটর ব্যবহার তো করাই যায়। যে সফটওয়্যারই থাকুক তাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা উচিত। বিসিসিআইকে প্রশ্নের মুখে পড়তেই হবে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে কী হবে? স্টেডিয়ামে জেনারেটর কি শুধু আলো জ্বালানোর জন্য? সম্প্রচারকারী সংস্থা ও তাদের সিস্টেমের জন্য কেন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকবে না? ডিআরএসের ব্যবহার নিশ্চিত করেই ম্যাচ হওয়া উচিত ছিল। নাহলে এই ম্যাচে এই প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ রাখা যেতে পারতো। যেটা হয়েছে, তাতে মুম্বই বাড়তি সুবিধা পেয়েছে। প্রথমে মুম্বই ব্যাট করলে তারাও এমন সমস্যায় পড়তে পারতো।
|
হর্ষর যুক্তি
সেই সময় মাঠেই ছিলেন ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে। ঠিক কী কারণে প্রথম ১০ বলে ডিআরএস ব্যবহার করা যায়নি তার কারণ টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, বিদ্যুৎ চলে গেলে অটোমেটিক্যালি জেনারেটর চালু হয়ে যায় বলে টিভি সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটে না। কিন্তু কিছু এমন যন্ত্র থাকে যেগুলি রিবুট হতে কিছুটা সময় লাগে। সে কারণেই ওই সমস্যা হয়েছিল ডিআরএস নিয়ে। গোটা বিশ্বেই এই সমস্যা রয়েছে। এর সঙ্গে বাজেট বা পরিকল্পনার কোনও সম্পর্ক নেই।
|
বোর্ডের পাশে
ভোগলে টুইটে আরও লিখেছেন, আমি এমন টুর্নামেন্ট বা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দেখেছি যেখানে ডিআরএস প্রযুক্তি ছাড়াই খেলা হয়েছে। যে মুহূর্তে মেশিন স্বাভাবিক হয়েছে, ডিআরএসের ব্যবহার হয়েছে। আইপিএলে প্রোডাকশন সেট-আপ বিশ্বমানের। আম্পায়ারের ভুল হতেই পারে, তিনি ভুল করে আউট দিয়ে ফেলতে পারেন। কেন না, প্রতিদিন সবার সমান যায় না। দিল্লি বনাম রাজস্থান ম্যাচে যেভাবে অনেকে নিয়ম না জেনেই নো বল বিতর্ক নিয়ে নানাবিধ মন্তব্য করেছিলেন। সেদিন কিন্তু আম্পায়ার সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। এই ম্যাচেও তেমনভাবেই অনেকে নানা মন্তব্য করছেন। ভোগলের দাবি, সেই ক্ষোভ বা রাগ প্রশমনের লক্ষ্যেই তিনি যুক্তি নির্ভর ও বাস্তব তথ্য তুলে ধরলেন তাঁর টুইটের মাধ্যমে।