IPL 2022: রিঙ্কু আউট কি স্টইনিসের নো বলে? জোরালো বিতর্কের মধ্যেই কেকেআরকে খোঁচা দিন্দার
কলকাতা নাইট রাইডার্স ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে আইপিএল থেকে। তবে তারই মধ্যে ক্রিকেটপ্রেমীরা দ্বিধাবিভক্ত। কেউ বলছেন রিঙ্কু সিং গতকাল শেষ ওভারের যে পঞ্চম বলে আউট হয়েছিলেন, সেটি ওভারস্টেপিংয়ের কারণে নো ছিল। কিন্তু পাল্টা অনেকেরই দাবি, মোটেই নো বল করেননি স্টইনিস, বল ছোড়ার আগে তাঁর পা ছিল যথাস্থানেই।
|
নজরে রিঙ্কুর আউট
কলকাতা নাইট রাইডার্সের গতকাল জেতার জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ২১ রান। মার্কাস স্টইনিসের প্রথম বলে চার মারার পর টানা দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন রিঙ্কু সিং। শেষ দুই বলে নাইটদের জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩। পঞ্চম বলে স্টইনিসের বলে ক্যাচ আউট হন রিঙ্কু সিং। এভিন লুইস যে দক্ষতার সঙ্গে বলটি তালুবন্দি করেন তা দেখে অনেকেই বলছেন, চলতি আইপিএলের সেরা ক্যাচ তো বটেই, আইপিএলের ইতিহাসেও এটি অন্যতম সেরা ক্যাচ। প্রথমে আম্পায়াররা নিশ্চিত হতে পারেননি। রিপ্লে দেখে রিঙ্কুকে আউট দেওয়া হয়। পরে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিঙ্কু। তাঁর সেই অভিব্যক্তি ভাইরালও হয়।
|
নো বল দাবি
এরই মধ্যে অনেক ক্রিকেটপ্রেমী বলতে থাকেন, রিঙ্কুর প্রতি অবিচার হয়েছে। তাঁকে আউট দেওয়ার আগে নো বল হয়েছে কিনা দেখা উচিত ছিল। তাঁরা এমন দাবিও করতে থাকেন, স্টইনিসের এই বলটি ওভারস্টেপিংয়ের কারণে নো ডাকা উচিত ছিল। কিন্তু আইপিএলে বারবারই দেখা গিয়েছে, প্রতিটি বলই চেক করেন তৃতীয় আম্পায়াররা। নো বল হলে স্টেডিয়ামে সাইরেনের মতো আওয়াজ করে বুঝিয়ে দেওয়া হয় বলটি নো। দেখা গিয়েছে, অনেকে আউট হওয়ার পরও এই ওভারস্টেপ চেকিংয়ের পর জীবন পেয়েছেন। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের দাবি, বলটা নো না হলে নাইটরা জিততে পারতো। সেক্ষেত্রে একটি ফ্রি হিট পাওয়া যেত। রিঙ্কু আউট হওয়ার পর উমেশ যাদব বোল্ড হতেই নাইটরা ২ রানে পরাস্ত হয়।
|
পাল্টা দাবি নো নয়
তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের একাশই আবার পাল্টা ফুটেজ দেখিয়ে দাবি করেন, মোটেই বলটি নো ছিল না। স্টইনিসের পা যথাস্থানেই পড়েছিল বল ছোড়ার আগে। তাই এটি কোনওমতেই নো বল নয়। উল্লেখ্য, কেকেআর শিবির থেকেও নো বলের প্রসঙ্গে কিছু বলা হয়নি। যেটা চলছে তা হলো সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দিন্দার খোঁচা
এরই মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে এবারের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলার ক্রিকেটার নেওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন নাইট তথা বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। এর আগে ওয়ানইন্ডিয়া বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারেও কেকেআরে বাংলার ক্রিকেটার না থাকা নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন। সিএবির ভূমিকাতেও অসন্তোষ ব্যক্ত করেছিলেন। এদিন তিনি ফেসবুকে লেখেন, গুড বাই কেকেআর ২০২২। ২০২৩ সালের জন্য আগাম শুভেচ্ছা রইল। তবে আশা করব, আগামী মরশুমে কেকেআর দলে বাংলার কয়েকজন ক্রিকেটারকে দেখা যাবে। উল্লেখ্য, এবারের আইপিএলে লিগশীর্ষে থাকা গুজরাত টাইটান্সে দারুণ পারফর্ম করছেন ঋদ্ধিমান সাহা ও মহম্মদ শামি। আরসিবিতে শাহবাজ আহমেদও ভালো খেলছেন। আগে কেকেআর বাংলার ক্রিকেটারদের নিলেও বিগত কয়েক বছর ধরে নিচ্ছে না। তাতেই ব্যর্থতার পর কেকেআর ম্যানেজমেন্ট খোঁচা দিতে ছাড়লেন না দিন্দা। বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারিও বলেছিলেন, বাংলার ক্রিকেটারদের না নিয়ে সাফল্য এলে ভালো। কিন্তু তা না হলে প্রশ্ন তো উঠবেই।
(ছবি- টুইটার)