এবার মমতার সরকারের উদ্যোগে শান্তিনিকেতনে 'বিকল্প' পৌষ মেলা! সময়সূচি ঘোষণা জেলা প্রশাসনের
এবার মমতার সরকারের উদ্যোগে শান্তিনিকেতনে 'বিকল্প' পৌষ মেলা! সময়সূচি ঘোষণা জেলা প্রশাসনের
বিশ্বভারতী (Viswabharati) কর্তৃপক্ষ এখনও পৌষ মেলার (Poush Mela) আয়োজন নিয়ে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। যে কারণে বিশ্বভারতীর উদ্যোগে হয়ে আসা ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার আয়োজন নিয়ে এবারেও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে বীরভূম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বোলপুরেই বিকল্প মেলার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার আয়োজক বিশ্বভারতী
শুরু থেকে বিশ্বভারতীয় উদ্যোগেই পৌষ মেলা হয়ে আসছে। গতবছর করোনার কারণে মেবার আয়োজন হয়নি। তবে তার আগের তিন চার বছর পরিবেশ সংক্রান্ত কারণে বাধার মুখে পড়ে। নির্দিষ্ট সময়ের পরেই দিনের পর দিন মেলা চলার কারণে দূষণের মাত্রা বাড়ছিল। যার জেরে ২০১৯-এ পরিবেশ আদালতের নির্দেশে মেলার দিন ধার্য হয়েছিল ৪ দিন। দুদিন মালপত্র গোছানোর সময় দিয়ে সপ্তম দিনে মেলাপ্রাঙ্গনকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কর্তৃপক্ষ মেলার আয়োজনে নারাজ
এবছরে পৌষ মেলার আয়োজন করতে চেয়ে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে সঙ্গে নিয়ে বোলপুর পুরসভা আবেদন করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে সেই আবেদনে এখনও সাড়া মেলেনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলার আয়োজন করতে চায় না। বিশ্বভারতীর উপচার্য ঘনিষ্ঠ মহলে ইঙ্গিত করেছেন, কোটি টাকা খরচ করে পৌষমেলা আয়োজন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
জেলাপ্রশাসনের উদ্যোগে বিকল্প মেলার আয়োজন
বীরভূম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প পৌষ মেলা হতে চলেছে। পৌষ মেলা শুরুর দিন অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর এই মেলা শুরু হবে। যা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অন্যদিকে ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের ক্ষুদ্র-কুটির ও বস্ত্রবয়ন শিল্প দফতরের উদ্যোগে মেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যা হবে বোলপুরের বিশ্ব বাংলা ক্ষুদ্রবাজারে। ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প দফতরের আধিকারিকরা মেলার মাঠ দেখে গিয়েছেন। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রীও হাজির ছিলেন সেই সময়।
জেলা প্রশাসনের বিবৃতি
জেলা
প্রশাসনের
তরফে
বলা
হয়েছে
২৩
থেকে
২৭
ডিসেম্বর
বোলপুরের
ডাকবাংলো
মাঠে
মেলার
আয়োজন
করা
হবে।
মেলায়
পৌষমেলার
ঐতিহ্য
অনুযায়ী
কুটির
শিল্প
তথা
হস্তশিল্পকেই
গুরুত্ব
দেওয়ার
কথা
বলা
হয়েছে।
প্রশাসনের
উদ্যোগে
খুশি
আশ্রমিকরা।
খুশি
হস্তশিল্পী,
ব্যবসায়ী,
হোটেল
মালিকরাও।
বর্তমান
পরিস্থিতিতে
ঐহিত্যবাহী
মেলা
বন্ধ
হওয়ার
মুখে
চলে
গেলেও
রাজ্য
সরকারই
কি
বিকল্প
মেলার
দায়িত্ব
নিজের
হাতে
তুলে
নিল
সেই
প্রশ্নও
উঠছে।
মেলার ইতিহাস
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৮ সালের মার্চে শান্তিনিকেতনে বাৎসরিক মেলার জন্য তাঁরই গঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যদের উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন। মধ্যে ১৯৪৩ এবং ১৯৪৬ সালে মন্বন্তর এবং সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কারণে মেলার আয়োজন হয়নি। পরবর্তী সময়ে বিশ্বভারতী তৈরি পরে সেই নামেই মেলার আয়োজন হয়ে এসেছে।