তৃণমূলকে নকল করে জনসংযোগে বিজেপি, নন্দীগ্রামের পাল্টা অনুব্রত-গড়েও উঠোন-বৈঠক
তৃণমূলকে নকল করে জনসংযোগে বিজেপি, নন্দীগ্রামের পাল্টা অনুব্রত-গড়েও উঠোন-বৈঠক
তৃণমূল যখন শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রামকে টার্গেট করেছে, তখন বিজেপি টার্গেট করেছে অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমকে। অনুব্রত-হীন বীরভূম, তাই ফাঁকা জমি পেয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। সে জন্য তাঁরা তৃণমূলকে নকল করতেও পিছপা হচ্ছে না। নন্দীগ্রামে যে কৌশল নিয়েছে তৃণমূল, সেই একই কৌশলে অনুব্রত গড়ে জনসংযোগ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
তৃণমূল নন্দীগ্রামে সম্প্রতি শুরু করেছে চাটাই পেতে উঠোনে বৈঠক। এবার বিজেপিও সেই একই স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এগোচ্ছে। তারা বীরভূমে চাটাই পেতে উঠোনে বৈঠক করবে অনুব্রত মণ্ডলের জেলায়। তৃণমূলের কর্নসূচি নকল করে বিজেপি মাত দিতে চাইছে। যদিও তাঁরা যে কর্মসূচি নকল করছেন, তা মানতে নারাজ বিজেপি নেতারা।
বিজেপি এই কর্মসূচিকে নকল না বলে বলতে চাইছে তৃণমূলের অস্ত্রেই বিজেপি শান দিচ্ছে। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে আসরে নেমেছে সমস্ত পক্ষ। গ্রাম দখলের লড়াইয়ে বিজেপির হাতিয়ার এবার উঠোন বৈঠক। বিজেপি পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনকে মজবুত করতে এই পরিকল্পনা নিয়েছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু বীরভূমেই নয়, রাজ্যে ৪২টি সাংগঠনিক জেলাতেই এই উঠোন বৈঠক শুরু করা হব। তা শুরু করা হচ্ছে বীরভূম জেলা থেকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের মতোই বিজেপিও জনসংযোগে জোর দিতে চাইছে। আর সেই জনসংযোগ কর্মসূচিতে জোর দিতে নতুন পন্থা না পেয়ে তৃণমূলকেই অনুসরণ করছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
বিজেপির নেতারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে উঠোনে চাটাই পেতে বসে বৈঠক করবেন। ব্লক স্তরের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি রাজ্যস্তরের নেতারাও যাবেন এই কর্মসূচিতে। ইতিমধ্যে বীরভূম জেলার নানা প্রান্তে এই চাটাই পেতে উঠোনে বৈঠক শুরু হয়েছে। তবে সবার আগে এই জনসংযোগ পরিকল্পনা নেয় তৃণমূল। তাঁরা নন্দীগ্রামে শুরু করে চাটাই বৈঠক।
কুণাল ঘোষ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা নন্দীগ্রামে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চাটাই বৈঠক করে এসেছেন। তারপর উত্তরবঙ্গেও চাটাই পেতে উঠোনে বৈঠকের মাধ্যমে জনসংযোগ করেন তৃণমূল নেতারা। কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয় এই কর্মসূচির মাধ্যমে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বিধায়ক মুসারাফ হোসেনের নেতৃত্বে হয় উঠোন বৈঠক।
তৃণমূলের দেখাদেখি এই কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে বিজেপিও। একাধিক পাড়া নিয়ে 'দুয়ারে চাটাই' নামে বৈঠকী আড্ডার এই কর্মসূচি তৃণমূল শুরু করেছিল ২০ নভেম্বর। সেখানে সাংগঠনিক আলোচনার মাধ্যমে সংগঠনকে আরও জোরদার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের এই সাফল্য দেখে বিজেপি আর বসে না থেকে তাঁরা শুরু করে দিয়েছে উঠোন বৈঠক।
বিজেপির এই উঠোন বৈঠক নিয়ে তীব্র খোঁচা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, নকল করে প্রচারে থাকার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। আসলে দলটার তো কোনও সংগঠনই নেই। উঠোন থাকলেও বৈঠকে মানুষ থাকবে না বিজেপির। পদ্ম শিবির থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, যা খুশি ওরা বলে বলুক, তাতে কী এসে যায়। আমরা সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল। তিলে তিলে এই জায়গায় পৌঁছেছি। আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে ভারতের রাজনীতি চলেনি, চলবেও না।
সুখবর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! পঞ্চায়েতের আগে দুয়ারে সরকার নিয়ে বড় ঘোষণা