বিকেলের পর হকি খেলা হবে, বোলপুরে ভোট দিয়েই নতুন ‘ডায়লগ’ অনুব্রত মণ্ডলের
বিকেলের পর হকি খেলা হবে, বোলপুরে ভোট দিয়েই নতুন ‘ডায়লগ’ অনুব্রত মণ্ডলের
পুরভোটের আগেও যে কথা বলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল ভোটের দিনও। পুরভোটে প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বীরভূমের বেতাজ বাদশা বলেছিলেন, এবার পুরভোটেও ভালো খেলা হবে, হকি খেলা হবে। এদিন ভোটদানের পর অনুব্রত মণ্ডল বললেন, বিকেলের পর হকি খেলা হবে।
পুরভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলের সেই দাওয়াই
অনুব্রত মণ্ডল পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর প্রার্থীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার অনুষ্ঠানে বলেছিলেন। এবারও ভালো খেলা হবে, ক্রিকেট ব্যাট থাকবে, ফুটবল থাকবে, হকি স্টিকও থাকবে। তাদের সব প্রার্থী জয়ী হবে। এবার টাউনে খেলা হবে। পুরভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলের সেই দাওয়াই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল।
২০২১-এ অবশ্য বাংলার নতুন ট্রেন্ড ‘খেলা হবে’
এর আগে নকুলদানা থেকে শুরু করে পাচন দাওয়াই দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ২০২১-এ অবশ্য বাংলার নতুন ট্রেন্ড 'খেলা হবে'। তৃণমূল যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের লেখা গানই তৃণমূলের স্লোগান হয়ে উঠেছিল। সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি প্রচতার মঞ্চ থেকে ফুটবল ছুড়ে খেলা হবে স্লোগান তুলেছিলেন।
বিকেলের পর হকি খেলা হবে, নতুন ডায়লগ কেষ্টর
সেই স্লোগানে মাত হয়েছে বাংলা। এবার পুরভোটেও খেলা হবে স্লোগানের ট্রেন্ড চলছে। সেই ট্রেন্ড ধরে রেখেই বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বললেন, এবার হকি খেলা হবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভোট দিয়ে বলেন, বিকেলের পর হকি খেলা হবে। সর্বত্র শান্তিতে ভোট হচ্ছে।
বোলপুরে বাইকে করে বাতাসা ও নকুলদানা বিলি
শুধু হকি খেলাতেই শেষ নয়। এদিন বাইকে করে ভোট দিয়ে যান 'অসুস্থ' অনুব্রত মণ্ডল। তখনই তিনি হকি খেলার দাওয়াই দিয়ে যান। তারপরই বোলপুরে বাইকে করে বাতাসা ও নকুলদানা বিলি করা হয়। অর্থাৎ বীরভূমের বেতাজ বাদশা রয়েছেন তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে। সেইমতোই তিনি ভোট দিতে এসেছেন। আবার ভোট দিয়ে তিনি তাঁর বিখ্যাত 'ডায়লগ'ও দিয়ে গিয়েছেন।
শুক্রবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনুব্রত
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শুক্রবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর চিকিৎসা করাতে তাঁকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তিনি বাড়ি ফেরেন। এর মধ্যে তৃতীয়বার তাঁকে সিবিআই তলব করেছে। শুক্রবারই তাঁর সিবিআই দফতরে যাওয়ার কথা ছিল। তিনি অসুস্থতার কারণে সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়িয়ে যান।
সিবিআইকে লেখা চিঠিতে যে দাবি অনুব্রত মণ্ডলের
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, হাজিরা না দিলেও গরু পাচার মামলায় তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি, তা জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত। তবে তিনি কলকাতায় সিবিআই দফতরে যেতে পারবেন না। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর পক্ষে কলকাতায় হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি চান বোলপুরে তাঁর বাড়ির কাছাকাছি কোথাও তাঁকে ডাকা হোক। সিবিআইকে লেখা চিঠিতে তিনি এই দাবি করেন।