একের পর এক জায়গতে কেষ্টার খোঁজে গিয়েও খালি হাতে ফিরছে কমিশন, অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি বিজেপির
ফিরতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের। ইতিমধ্যে কমিশনকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট। কমিশনের তরফেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। ফিরতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের। ইতিমধ্যে কমিশনকে এই বিষয়টি জা
ফিরতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের। ইতিমধ্যে কমিশনকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট। কমিশনের তরফেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
ভোটের আগের দিন যেভাবে কমিশনের আধিকারিকদের ঘোল খাওয়াচ্ছেন অনুব্রত তাতে আতঙ্কিত বিরোধীরা।
অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি
ভোটের আগের দিন কার্যত নির্বাচন কমিশনকেই ঘোলা খাওয়াচ্ছেন অনুব্রত মন্ডল। একের পর এক জায়গাতে অনুব্রত মন্ডল রয়েছেন বলে খবর আসলেও সেখানে গিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে কমিশনের আধিকারিকরা। এই অবস্থায় আতঙ্কিত বিরোধীরা। ইতিমধ্যে বিজেপির তরফে অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের অভিযোগ, উনি (পড়ুন অনুব্রত) বীরভূমের বুথ জ্যাম, ছাপ্পা কেলেঙ্কারির মাস্টার। কমিশনই তাঁকে নজরবন্দি করতে পারছে না সেক্ষেত্রে বীরভূমে কীভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই বিজেপি নেতা। অবিলম্বে কেষ্টাকে গ্রেফতার কিরা উচিত বলে দাবি জয়প্রকাশ মজুমদারের। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুব্রতকে নিয়ে কমিশনের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে দাবি বিজেপির
সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন ছিল কমিশনের
আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন ছিল নির্বাচন কমিশনের। এমনটাই মনে করছে কংগ্রেস। তিনি এমনটাই করবেন, আশঙ্কা ছিল। ফলে এই বিষয়ে আরও কড়া মনভাব কমিশন কেন নিল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে কংগ্রেস। ভোটের দিন মানুষ ভোট দিতে না পারলে এর দায় কমিশনকেই নিতে হবে বলেও অভিযোগ।
একের পর এক জায়গায় ঘুরছেন অনুব্রত!
রাত পোহালেই বীরভূমে ভোট। তার আগে নজরবন্দি অনুব্রত নজর এড়িয়ে জেলার স্পর্শকাতর বুথে হাজির হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। জানা যাচ্ছে, লাভপুর থেকে আমোদপুরের দিকে যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। সেদিকেই যাচ্ছেন কমিশনের আধিকারিকরাও। তবে একের পর এক জায়গাতে কমিশনের আধিকারিকরা ঘুরলেও এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাঁর। কার্যত হন্যে হয়ে বীরভূমের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন কমিশনের আধিকারিকরা।
রুটিন ডিউটি, কটাক্ষ অনুব্রত
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পরে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময়েও অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করেছিল নির্বাচন কমিশন। ফলে এবারের সিদ্ধান্ত অনুব্রত মণ্ডলের কাছে নতুন কিছু নয়। তাই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত জানার পরে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, এটা কমিশনের রুটিন ডিউটি। এবারও অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করা হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উপদেশ দিয়েছিলেন, যদি নির্বাচন কমিশন নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে যেন অনুব্রত মণ্ডল সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান। এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, আদালতে যাবেন, তবে তার খবর পাওয়া যাবে বুধবার।
ফাইন খেলা হবে, বলেছিলেন অনুব্রত
নির্বাচন কমিশন তাঁকে নজরবন্দি করার সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে বীরভূমের মানুষ ব্যালটে জবাব দেবে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ছিলেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, মানুষ বিচার করবে, চিন্তাভাবনা করবে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, নজরবন্দি করার তাঁর লাভ হবে। লোকসান নেই। তিনি যেখানে যাবেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীও সেখানে যাবেন। ফাইন খেলা হবে। ভয়ঙ্কর খেলা হবে। এবারের লোকসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই অবশ্য অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন ভয়ঙ্কর খেলা হবে। কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে এখন কি খেলা খেলছেন অনুব্রত সেটাই বড় প্রশ্ন বিরোধীদের।