সিপিএম নেতার বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক, দেখা হল না কথা হল লাভলি-সুজনের
সিপিএম নেতার বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক, দেখা হল না কথা হল লাভলি-সুজনের
সৌজন্যের এক অনন্য নিদর্শন স্থাপন করলেন তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে বেরিয়ে সটান সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বাড়িতে হাজিল হলেন তিনি। সিপিএম নেতার পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে এলাকার অভাব-অভিযোগের কথা শুনলেন।
লাভলি মৈত্র বিধানসভা এলাকায় দুয়ারে দুয়ারে
দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দিদির দূত হয়ে সাসংদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও নেতারা বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন। সেইমতোই সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলি মৈত্র তাঁর বিধানসভা এলাকায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। তাঁর বিধানসভা ক্ষেত্রের মধ্যেই পড়ে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বাড়ি।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক
সোনারপুরের কালিকাপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সুজন চক্রবর্তী। এদিন ওই এলাকায় গিয়ে সৌজন্যের নিদর্শন স্থাপন করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বাড়িতে যান সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিনেত্রী লাভলী মৈত্র। তবে সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে এদিন দেখা হয়নি তৃণমূল বিধায়কের।
দেখা না হলেও সুজনের সঙ্গে ফোনে কথা লাভলির
দলীয় কাজে আপাতত পুর্ব মেদিনীপুরে আছেন সুজন চক্রবর্তী। তাই সুজনবাবুর সঙ্গে দেখা না হলেও তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে বিধায়ক লাভলি মৈত্রের। তাঁদের মধ্যে সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়। সুজন চক্রবর্তী বলেন, এখনও একদিনও দেখা হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুরে আছি, আজও দেখা হবে না।
রাজনীতিতে মত ভিন্ন, সৌজন্য জরুরি
এরপর সিপিএম নেতা সুজনবাবু তৃণমূলের বিধায়ক লাভলি মৈত্রকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান। লাভলিও জানান, তিনি অন্য একদিন আসবেন। এবার আগে থেকে জানিয়েই তিনি আসবেন। এদিন উভয়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ কথা হয়। তাঁদের কথায় সৌজন্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়। লাভলি বলেন, রাজনীতিতে মত ভিন্ন হতেই পারে, কিন্তু সৌজন্য বজায় রাখা জরুরি।
সুজন চক্রবর্তীর পরিজনদের সঙ্গে কথা লাভলির
এদিন সুজন চক্রবর্তী বাড়িতে না থাকলেও তাঁর দাদা রতন চক্রবর্তী, ভাই রঞ্জন চক্রবর্তী এবং স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র। তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন তিনি। এলাকায় রাস্তাঘাট, পানীয় জলের সমস্যার কথা তাঁরা বিধায়কের কাছে তুলে ধরেন। বিধায়ক তা দেখে আশ্বাস দেন জরুরি ভিত্তিতে তার সমাধানের।
রাজনৈতিক সৌজন্যের পরিবেশ তৈরি হল সোনারপুরে
লাভলি মৈত্র বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই দায়িত্ব পালনে আমরা প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছি। কোথায় কোথায় পরিষেবা পৌঁছয়নি, কোন এলাকায় কী সমস্যা রয়ে গিয়েছে। প্রতিটি পরিবার পরিষেবা ঠিকঠাক পাচ্ছেন কি না জানতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে লাভলি মৈত্র এসেছিলেন এলাকায়। এই এলাকায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বাড়িতেও তিনি যান। এক সৌজন্যের পরিবেশ তৈরি হয়।
বিচারপতি মান্থা'র বাড়ি-আদালত চত্বরে পোস্টার দিল কে? স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়ে জানতে চাইল হাইকোর্ট