বাগুইআটির সঞ্জয় রায়ের খুনে পাঁচজনের যাবজ্জীবন সাজা
বাগুইআটির সঞ্জয় রায়ের খুনে পাঁচজনের যাবজ্জীবন সাজা
বাগুইআটির সঞ্জয় রায়ের খুনের ঘটনার পাঁচ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে, যাবজ্জীবনের রায় শোনাল বারাসাত আদালত।
বুধবার বারাসত জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক (প্রথম আদালত) বিজয়েশ ঘোষাল এদিন পাঁচ আসামীদের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন। এদিন রঞ্জু দে, কালীদাস অধিকারী, প্রবীর সরকার, টুকাই বিশ্বাস ও বাপি রহমানকে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করে তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন।
এদিন সরকারি কৌঁসুলি সন্দীপ ভট্টাচাৰ্য জানান, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ধৃত অপর চারজনকে আগেই উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে বাগুইআটির আইএনটিটিইউসি নেতা বাবাই বিশ্বাস। শুনানীর শেষে বারাসত জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক (প্রথম আদালত) বিজয়েশ ঘোষাল নয় অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচ জনকে দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি চারজনকে খালাস করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে দিন সরকারি কৌঁসুলি আরও জানান, ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বাগুইআটি থানার জগৎপুর খালপাড়ে নৃশংস খুনের ঘটনায় এলাকায় প্রতিবাদী হিসেবে পরিচিত সঞ্জয় রায় ওরফে বুড়োকে গুলি ও বোমা মেরে খুন করা হয়। এই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিস রঞ্জু দে, কালীদাস আধিকারী, প্রবীর সরকার, টুকাই বিশ্বাস, বাপি রহমানকে গ্রেপ্তার করেছিল। খুনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আইএনটিটিইউসি নেতা বাবাই বিশ্বাস ছাড়াও গোপাল বিশ্বাস ওরফে ইঁদুর, মনোরঞ্জন সরকার ও দীপঙ্কর রায় ওরফে গ্যাস বাপিকেও পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল।
তাদের বাড়ি বাগুইআটি, নিউটাউন সহ আশপাশের থানা এলাকায়। ধৃত আট জনের কাস্টোডি ট্রায়াল চললেও মনোরঞ্জন বিশ্বাস হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। বাগুইআটির জগৎপুরে প্রতিবাদী যুবক সঞ্জয় রায়ের নৃশংস খুনে মানুষ শিউরে উঠেছিল। এই ঘটনায় ধৃত ৯ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১২০বি ও অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছিল। এর আগের শুনানীতে খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকা রঞ্জু, কালীদাস, প্রবীর, টুকাই ও বাপিকে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেন।
তবে দোষীদের আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
পরিবর্তন নয়, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে! সোশ্যাল মিডিয়াতেও বাধা, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
{quiz_300}