বক্স অফিসে ঝড় তুলতে সফল উৎক্ষেপণ 'মিশন মঙ্গল'-এর
ট্রেলরের প্রথম ডায়লগেই ছিল, 'পরীক্ষা ছাড়া বিজ্ঞান কোনও দিনও এগোতে পারে না! পরীক্ষা নিরীক্ষা না করলে নিজেকে বিজ্ঞানী বলে পরিচয় দেওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই!'
ট্রেলরের প্রথম ডায়লগেই ছিল, 'পরীক্ষা ছাড়া বিজ্ঞান কোনও দিনও এগোতে পারে না! পরীক্ষা নিরীক্ষা না করলে নিজেকে বিজ্ঞানী বলে পরিচয় দেওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই!'
একেবারেই তাই, বলিউডে শেষ কয়েক বছরে ভিন্ন স্বাদের গল্প নিয়ে কাজ হচ্ছে, তাতেই নবতম সংযোজন 'মিশন মঙ্গল'। সফল উৎক্ষেপণে ইতিমধ্যেই যা দর্শকদের মন কারতে শুরু করল। বক্স অফিসে ঝড় তুলতে পারে অক্ষর কুমার, বিদ্যা বালন, তাপসী পান্নু, সোনাক্ষী সিংহা অভিনীত এই সিনেমা।
ভারতের প্রথম পূর্ণাঙ্গ স্পেস ফিল্ম
মঙ্গল অভিযানের বিষয়ের উপর তৈরি এটি বলিউডের প্রথম স্পেস ফিল্ম। ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ইংরেজি মাধ্যমে কয়েকটি স্পেস ফিল্ম রয়েছে। সেগুলি সবই হলিউডের। হলিউডে মহাকাশ নিয়ে তৈরি ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ ধরলে, সবচেয়ে বেশি চর্চিত হয়েছিল 'গ্র্যাভিটি'। এবার বলিউড পেল তাঁর প্রথম স্পেস ফিল্ম।
গল্প
ভারতের মঙ্গল অভিযানের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে মহিলাদের অবদান। মঙ্গলের মাটিতে ভারতের পা রাখার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মহিলা বিজ্ঞানীদের পরিশ্রম-সাধনার কাহিনি। আর সেই মহিলা বিজ্ঞানীদের লড়াইয়ের গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে মিশন মঙ্গল। স্বাধনীতা দিবসের সপ্তাহে ভারতীয় মহিলা বিজ্ঞানীদের অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার এই কাহিনি হলে গিয়ে দেখে আসতে পারেন।
অভিনয়
ইসরোর প্রজেক্ট ডিরেক্টরের পদে অক্ষয় কুমারের অভিনয় আপনার মনে থেকে যাবে। সেই সঙ্গে সিনেমার পাঁচ অভিনেত্রীদের অভিনয়ও নজর কাড়বে। অন্য ধারার ছবিতে আবারও ছয়-চার হাঁকালেন বিদ্যা বালন। অক্ষয়-বিদ্যা জুটিই এছবির প্রাণ। অন্যদের মধ্যে সোনাক্ষী, তাপসীর অভিনয় ভালো লাগবে।
কি শেখাবে
সাফল্য-ব্যর্থতা, একটি কয়েনের দুই পিঠ। কথাটা জেনেও প্রতিদিন সমস্যার সামনে পড়লে হাল ছেডে় দিয়ে আত্মসপর্মণ করে নেওয়ার বদভ্যাস থেকে মুক্তি দিতে শেখায় এই সিনেমা। মিশন মঙ্গল শেখায়, মনের জোরে কঠিন পথ পেরিয়ে মঙ্গলের মাটিতেও পৌঁছে যাওয়া যায়। সব প্রজন্মের দর্শকদেরই সিনেমাটি মনোরঞ্জন করবে।