যৌনতা নিয়ে সামাজিক ভাবনা চিন্তা কোনপথে! জবাব দিল 'খানদানি শফাখানা'
মঙ্গলের মাটিকে পা রেখেছে ভারত। দেশের অগ্রগতির চাকা ক্রমেই দ্রুততার সঙ্গে এগিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত একাধিক বিষয় নিয়ে গোঁড়ামির শেকলে নিজেকে বেঁধে ফেলেছে এদেশ।
মঙ্গলের মাটিকে পা রেখেছে ভারত। দেশের অগ্রগতির চাকা ক্রমেই দ্রুততার সঙ্গে এগিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত একাধিক বিষয় নিয়ে গোঁড়ামির শেকলে নিজেকে বেঁধে ফেলেছে এদেশ। আর সেই জায়গা থেকেই 'খানদানি শফাখানা' ফিল্মের প্রাসঙ্গিকতা অনেক বেশি। সোনাক্ষী অভিনীত এই সাহসী ছবির চিত্রনাট্য সমাজভাবনায় একাধিক দৃষ্টান্তমূলক বিষয় তুলে ধরছে।
চিত্রনাট্য
'খানদানি শফাখানা' র মালকিন বেবি বেদী (সোনাক্ষী)। বুঝতে সমস্যা হলে বলে রাখি, এটি বেবি বংশ পরম্পরায় পেয়েছেন। বলা যেতে পারে , এক অদ্ভূত 'ডাক্তারখানা'। তবে শুধু যৌনতা সম্পর্কীয় রোগই এখানে সারানো হয়। আর এই ডাক্তারখানায় চালাতেন মামাজি (কূলভূষণ খারবন্দা)। এই ডাক্তারখানা তিনি তাঁর ভাগ্নি বেবিকে দিয়ে যান। আর একজন পুরুষের হাত থেকে যৌনতা সম্পর্কীয় একটি 'ডাক্তারখানা' একডন মহিলার হাতে যেতেই সমাজ টেরা চোখে তাকাতে শুরু করে। সমাজের টেরা নজর পড়ে বেবির পরিবারের ওপর। এরপরই গল্পে এন্ট্রি নেয় বাদশা। এরপরের ঘটনা মজার মোড়কে কড়া বার্তায় পেশ করেন পরিচালক।
পরিচালনা
ছবির বাঙালি পরিচালক শিল্পী দাশগুপ্ত যতটা ছবির চিত্রনাট্যে জোর দিয়েছেন ততটা সংলাপের জোর ছিলনা। বেশ কিছু সিটকমে নিম্নমানের রঙ্গ কৌতূক যোগ করা হয়েছে। তবে ছবিতে তিনি সোনাক্ষর জন্য অভিনয়ের যতটা সুযোগ করে দিয়েছেন , সেরকম সুযোগের জোর ছবিতে তাঁর গল্প বলার ধরনে ছিল না।
অভিনয়
পরিচালনা থেকে ছবির চিত্রনাট্যের নিউক্লিয়াস যেমনই হোক, খানদানি শফাখানায় অন্যান্য চরিত্রের অভিনেতাদের কাছে দক্ষাতা প্রমাণের জোর তেমন ছিল না। কুলভূষণ খলবন্দার মতো গুণী অভিনেতা ফিল্মে থাকলেও সুযোগ তেমন ছিলনা অভিনেতাদের। সেক্ষেত্রে আলাদা করে নজর কেড়েছেন বরুণ শর্মা।