'আনার কলি অব আরাহ' রিভিউ : ছবিতে একাই একশো স্বরা!
ভারতীয় আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে, ভারতীয় মহিলাজের বাস্তব ছবি নিয়ে এর আগেও অনেক ছবি হয়েছে। আর সেই ধারাকে বজায় রেখেই 'আনার কলি অব আরাহ' ছবিতে বাস্তবের আরেক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হল।
ছবি: আনার কলি অব আরাহ অভিনেতা: স্বরা ভাস্কর, সঞ্জয় মিশ্র, পঙ্কজ ত্রিপাঠি
পরিচালক: অবিনাশ দাশ
প্রযোজক: প্রিয়া কাপুর, সন্দীপ কাপুর
যত দিন যাচ্ছে তত নারীকেন্দ্রিক ছবি নিয়ে বেশ সাবালক হয়ে উঠছে বলিউড। ভারতীয় আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে , ভারতীয় মহিলাদের বাস্তব ছবি নিয়ে এর আগেও অনেক ছবি হয়েছে। আর সেই ধারাকে বজায় রেখেই 'আনার কলি অব আরাহ' ছবিতে বাস্তবের আরেক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হল।
পটভূমি
ছবির কাহিনীবিন্যাস তৈরি হয়েছে, বিহারের আরাহ-এর অর্কেস্ট্রা গায়িকা আনারকলিকে(স্বরা ভাস্কর) নিয়ে। আরাহ -এর যে কোনও নাচগানের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠলেই নিজের 'লটকা- ঝটকা' তে উপস্থিত দর্শককে মাতিয়ে তোলেন আনারকলি। ছবিতে দেখানো হয়েছে নিজের যৌনতা দিয়ে পুরুষদের আকর্ষণ করার সমস্ত ক্ষমতা রাখেন আনারকলি। আর তা নিয়ে বেশ গর্বও রয়েছে তাঁর।
সারা আরাহ জুড়ে আনারকলির প্রচুর ভক্তও রয়েছে। আর ভক্তদের মন জয় করে একের পর এক অনুষ্ঠানে আসর মাতান আনারকলি। এরকমই এক অনুষ্ঠানে , স্থানীয় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধর্মেন্দ্র চৌহান (সঞ্জয় মিশ্র) জনসমক্ষে নিগ্রহ করে আনারকলিকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কাহিনী মোড় নেয় অন্যদিকে। সমাজের প্রতিপত্তি আর ক্ষমতায়ণের বিরুদ্ধে শুরু হয় আনারকলির একার লড়াই। কিন্তু তারপর কী হয়? অসম যুদ্ধে কী জিততে পারে আনার কলি ? জানার জন্য দেখতে হবে 'আনার কলি অব আরাহ' ।
পরিচালনা
'আনার কলি অব আরাহ'-এর হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছেন অবিনাশ দাস। পরিচালক হিসাবে এইরকমের মন ছুঁয়ে যাওয়া কাহিনীবিন্যাসকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। সেদিক থেকে পরীক্ষায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন অবিনাশ দাস। ছবিতে পরিস্থিতি বিশেষে সংলাপ চয়নও অত্যন্ত ভালো। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই গল্প প্রকাশের ধরনে তাল কেটে গিয়েছে ছবির। ছবির বেশ কয়েকটি জায়গা যথেষ্ট একঘেয়ে । ইন্টারভেলের পর থেকে কমেছে ছবির গতি।
পারফরম্যান্স
মূলধারা
ছবি
হোক
বা
অন্যধারার
ছবি,
অভিনেত্রী
হিসাবে
নিজেকে
বার
বার
প্রমাণ
করেছেন
স্বরা
ভাস্কর।
এছবিতেও
তিনি
আরেকবার
প্রমাণ
করেছেন,
নিজের
অভিনয়
দক্ষতা।
ছবিতে
আনারকলির
চরিত্রের
নানা
দিক
রয়েছে।
সেই
সমস্ত
দিককে
নিপুণভাবে
তুলে
ধরেছেন
স্বরা
ভাস্কর।
তাঁর
অভিনয়ের
রেশ
সারা
ছবি
জুড়ে
রয়েছে।
স্বরা
ছাড়াও
পঙ্কজ
ত্রিপাঠি
ও
সঞ্জয়
মিশ্র
এই
ছবিতে
মন
জয়
করে
নিয়েছেন
দর্শকদের।
এছাড়াও
ইশতেয়ক
আরিফ
খান
ও
ময়ূর
মোরে
দুজনেই
এই
ছবিতে
অসামান্য
অভিনয়
করেছেন।
সঙ্গীত
গান এই ছবির একটি বিশেষ দিক। কারণ ছবির মূল চরিত্র আনারকলি একজন অর্কেস্ট্রা গায়িকা। তবে ছবিতে সেভাবে গানের ব্যবহার না হলেও , ছবিতে একটি ঠুমরি গান আসর মাত করার মত। এছাডা়ও সোনু নিগমের গাওয়া আরেকটি গানও বেশ শ্রুতিমধুর।সবশেষে
ছবির কাহিনী বিন্যাসে বেশ কিছু ফাঁক ফোকড় থেকে গিয়েছে । আর সেজন্যই ছবির বেশ কয়েকটি জায়গায় পরিচালনাগত দুর্বলতা ধরা পড়েছে। ছবির গল্পও অনেকটাই চিরাচরিত নারীকেন্দ্রীক বলিউড সিনেমার মতোই এগিয়েছে। তবে বিহারের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে এরকম একটা ছবিকে তুলে ধরতে গিয়ে অনেকটাই সফল পরিচালক অবিনাশ দাস।