সারেগামাপা-র 'নোবেল'-এর জীবনের কিছু অজানা কথা, যা সত্যিই অবাক করে
রেজওয়ানা বন্যা চৌধুরী, রুনা লায়লা থেকে আয়ুব বাচ্চু, জেমস.. বাংলার সঙ্গীত জগতে একাধিক তারকাকে উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ।
রেজওয়ানা বন্যা চৌধুরী, রুনা লায়লা থেকে আয়ুব বাচ্চু, জেমস.. বাংলার সঙ্গীত জগতে একাধিক তারকাকে উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। আর সেই সঙ্গীত ঘরানার এই প্রজন্মের আরও এক উঠতি নক্ষত্র ক্রমেই জনপ্রিয়তা পেয়ে চলেছেন পদ্মার এপারে! মইনুল আহসান নোবেল। টেলিভিশনের বিখ্যাত শো 'সা রে গা মা পা'-র মঞ্চে যিনি ক্রমেই অবাক করে চলেছেন সকলকে। জেনে নেওয়া যাক তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
জন্ম ও বেড়ে ওঠা
বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের নোবেল পরিবারের বড় ছেলে। বাবা পেশাগতভাবে ব্যবসায়ী। নোবেল বলেন, যবে থেকে ছোট্ট ছোট্ট আঙুলে তিনি কড় গুনতে শিখেছেন, তবে থেকেই শুরু হয়েছে তাঁগ সঙ্গীত চর্চা। নিঃসহন্দেহে তা অবাক করার মত ঘটনা।
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যোগ
ছোটবেলা থেকেই নোবেলকে ঢাকা, খুলনা, গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি করা হয়েছ। এক একটি ক্লাসে এক একটি নতুন স্কুল। শেষে একদিন মারামারি করে স্কুল থেকে টিসি নিয়ে বিদায় নিতে হয় তাঁকে! এরপর পদ্মা পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। দার্জিলিং এর কার্শিয়াংএ সেখানে হিমালি বোর্ডিং স্কুলে ক্লাস নাইনে ভর্তি হন নোবেল।
এরপর কলকাতায় নোবেল
ক্লাস নাইনে একাধিকবার পড়ার পর, আর পাহাড়ি স্কুল ভালো লাগেনি নোবেলের। শেষে কলকাতার হাজরার একটি স্কুলে তাঁকে ভর্তি করা হয়। আর সেই সময় গিটার কেনা প্রথম। বন্দুদের সাহায্যে শুরু হল গানের চর্চা।
বাবার সঙ্গে অভিমান
২০১৪ সালে কলকাতায় পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে দেশে ফিরতেই নোবেল জানিয়ে দেন বাড়িতে যে তিনি সঙ্গীত চর্চা নিয়েই এগোতে চান। বাধ সাধেন তাঁর বাবা-মা। এদিকে নোবেলের জদে চেপে বসে তাঁর গুরু 'জেমস' হওয়ার লক্ষ্যে। বাড়িতে সাফ জানিয়ে দেন চাকরি তিনি করবেন না। বলেন, 'জেমস না হতে পারি , নোবেল হব।'
কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই গান-প্রেম
এরপর কারোর কোনও কথাই কানে নেননি নোবেল। গানের ব্যান্ডে তখন শ্রোতাদের মাত করতে শুরু করেন তিনি। তাঁর গাওয়া 'বাবা' গানটি হিট হয় রাতারাতি। তারপরই কলকাতায় 'সা রে গা মা পা' এর টিকিট ! ব্যাস , সফর এগোতে থাকে সাফল্যের দিকে...
[আরও পড়ুন:হিরো আলমের সম্পত্তি-আয়ের পরিমাণ জানেন! বাংলাদেশ নির্বাচনে এই প্রার্থী অবাক করছেন]