তরুণ বয়সে আরএসএসে অংশ ছিলেন মিলিন্দ সোমান, প্রকাশ আত্মজীবনীতে
তরুণ বয়সে আরএসএসে অংশ ছিলেন মিলন্দ সোমান, প্রকাশ আত্মজীবনীতে
তাঁর আত্মজীবনী 'মেড ইন ইন্ডিয়া’ বইয়ের একটি উদ্ধৃতি প্রকাশ্যে আসার পর মঙ্গলবার রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড সুপারমডেল মিলিন্দ সোমান। ওই বইয়ের একটি জায়গায় লেখা আছে যে তিনি তরুণ বয়সে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস) যোগ দিয়েছিলেন।
মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে যেতেন মিলিন্দ
৫৪ বছরের অভিনেতা তথা মডেল সেই সময়কার দিন স্মরণ করেছেন তাঁর বইতে, যখন তিনি মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কের স্থানীয় শাখা বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতেন। মিলন্দ লিখেছেন, তাঁর বাবা বিশ্বাস করতেন আরএসএসের জুনিয়র ক্যাডারে তাঁর তরুণ পুত্র যোগ দিলে সেখান থেকে শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন, শারীরিক সুস্থতা ও সঠিক চিন্তাভাবনা করার সুযোগ পাবে। এই বিষয়টি প্রকাশ করার পরই মঙ্গলবার টুইটারে ট্রেন্ড হন মিলিন্দ সোমান। বহু টুইট আসে তাঁর কাছে। এদিকে, মিলিন্দ তাঁর বইয়ে যোগ করেছেন যে আরএসএস শাখার অংশ হওয়া সেই দিনগুলিতে একটি ছোট ছেলের জন্য শিবাজি পার্কে যাওয়ার আনন্দটাই বেশি ছিল।
আরএসএসের প্রতি মিলিন্দের প্রেম
মিলন্দ তাঁর বইতে লিখেছেন, ‘আমি যখন আজকের সমাজের বিধ্বংসী অবস্থা, সাম্প্রদায়িক হিংসার কতা পড়ি এবং সংবাদমাধ্যম এসবের জন্য আরএসএসকে দায়ি করে, আমি খুব বিস্মিত হই।' তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রত্যেক সন্ধ্যায় শাখায় কাটানো সময়ের স্মৃতি পুরোপুরি আলাদা। আমরা খাকি শর্টস পরে কুচকাওয়াজ করতাম, কিছু যোগ করতাম, কোনও বিলাসময় যন্ত্র ছাড়াই ঐতিহ্যময় জিমনাস্টিক করতাম, গান গাইতাম এবং সংস্কৃতি মন্ত্র উচ্চারণ করতাম যার অর্থ নিজেরাই বুঝতাম না। অনেক খেলা খেলতাম এবং আমার সহ-বন্ধুদের সঙ্গে খুব মজা করতাম।' মিলন্দ বলেন, ‘সব ক্রিয়াকলাপ শাখার একটি দল তদারকি করত, যার নেতৃত্বে থাকত অনুপ্রেরণামূলক প্রাপ্তবয়স্ক, যিনি মনে করতেন আমরা সঠিক সমাজ গড়তে সহায়তা করব।'
মিলিন্দ সোমনের বাবাও আরএসএস সদস্য ছিলেন
মিলিন্দ আরও জানিয়েছেন যে তাঁর বাবা নিজে একজন আরএসএসের সদস্য এবং একজন গর্বিত হিন্দু ছিলেন। তিনি তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘আমি এরমধ্যে গর্ব বোধ করার কিছুই দেখিনি যদিও আবার অন্য দিকে, এর মধ্যে কোনও ধরনের অভিযোগ জানানোরও কিছু দেখিনি।'