সমবয়সী হওয়ার পরও বি-টাউনের এই তারকাদের চেহারায় রয়েছে বিস্তর ফারাক
সমবয়সী হওয়ার পরও বি-টাউনের এই তারকাদের চেহারায় রয়েছে বিস্তর ফারাক
শৈশব থেকে কৈশর হয়ে যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্য। জীবন কখনও থেমে থাকে না। আয়ু বেড়ে চলে বয়সের সংখ্যায় পরিবর্তন আসে। আমরা যত বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যাই, আমাদের চেহারায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বলিরেখা, পিগমেন্টেশন মুখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মোট কথা আমরা বুড়িয়ে যাই। যাকে সাধারণত আমরা বয়সের ছাপ বলে থাকি।পাশাপাশি আমাদের শরীরে আকৃতিতেও নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। চুলে পাক ধরে, চেহারা ভারী হয়ে যায়। বয়স বাড়লে অনেকেই হারিয়ে ফেলে মুখের উজ্জ্বলতা। আমাদের চারপাশে অনেকেই রয়েছেন যাদের দেখলে মনেই হয়, তারা মধ্য বয়সে পৌঁছে গেছে। এখনও বেশ ফিট অ্যান্ড ফাইন। বয়সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধরে রেখেছেন যৌবন। বলিউডের অনেক সেলেবকে দেখলে মনে হয় তুড়ি মেরে বয়সকে উড়িয়ে দিয়েছে। কয়েকজন এতোটাই ফিট যে, তাদের দেখলে বয়সের আন্দাজ করা কঠিন। পাশাপাশি কিছু তারকা আছেন যাদের চেহারায় বয়সের প্রকট ছাপের কারণে আসল বয়সের অনুপাতে বেশি বয়স্ক মনে হয় তাদের। আজকের আয়োজন সেই সকল বলিউড তারকাদের নিয়ে যারা একই বয়সের হওয়া সত্ত্বেও তাদের চেহারায় রয়েছে বিস্তর ফারাক।
নার্গিস ফাকরি এবং কঙ্কনা সেন শর্মা
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় জগতে নার্গিস ফাকরি এবং কঙ্কনা সেন শর্মা দুজনেই পরিচিত মুখ। রকস্টার দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন নার্গিস ফাকরি। এরপর আজাহার, ম্যায় তেরা হিরো, হাউসফুল ৩ এই ছবিগুলোতে দেখা যায় তাকে। কঙ্কনা সেন শর্মাও বলিউডকে বেশকিছু ভালো ছবি উপহার দিয়েছেন। শেষবার অভিনেত্রীকে ওয়েব সিরিজ মুম্বাই ডায়রিস-এ দেখা গেছে। আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, এই দুই অভিনেত্রী কিন্তু সমবয়সী। দুজনের বয়স ৪৩। তবুও কঙ্কনার তুলনায় নার্গিসকে কমবয়সী মনে হয়।
গ্রেসি সিং এবং করিনা কাপুর
মনে পড়ে আমির খানের লাগান সিনেমাটির কথা। যেখানে গ্রেসি সিং তার অভিনয় দক্ষতার মধ্য দিয়ে দর্শকদের নজর কাড়ে। ইন্ডাস্ট্রিতে তার জার্নি সুদূরপ্রসারী না হলেও, তিনি অভিনয় জগতের পরিচিত মুখ। তাকে শেষবার ছোট পর্দায় সন্তোষী মাতা সিরিয়ালে দেখা যায়। কিন্তু করিনা কাপুর বলিউডের প্রথমসারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। দুজনের বয়স ৪২ বছর। সমবয়সী হওয়া সত্ত্বেও করিনা কাপুর বয়স ধরে রাখার দৌড়ে এগিয়ে বেবো।
হেমা মালিনী এবং জয়া বচ্চন
ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী এবং জঞ্জিরের জয়া বচ্চন দুইজনে একসময়ে বলিউডে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। অভিনয় দক্ষতা দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছেন। বলিউডের হিট সিনেমাগুলোতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারা। তাদের রূপে মুগ্ধ ছিলেন আট থেকে আশি। দু'জনের বয়স প্রায় ৬৫। ষাটোর্ধ্ব বয়সে দাঁড়িয়ে হেমা মালিনী এখনও যেভাবে নিজের বয়সকে ধরে রেখেছেন, সেই তুলনায় জয়া বচ্চনকে অনেকটাই বড় বলে মনে হয়।
মালাইকা অরোরা এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন
তন্বী ফিগার হোক বা অর্জুন কাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক সব সময় চর্চায় থাকেন মালাইকা অরোরা। এই বয়সেও তার শরীর থেকে চুয়ে পড়ে আবেদন। এককথায় যৌবন ধরে রাখতে জানেন মালাইকা। কিন্তু সেই তুলনায় বয়স ধরে রাখার দৌড়ে মালাইকাকে টেক্কা দিতে পারেননি ঐশ্বর্য। দু'জনের বয়স ৪৯। কিন্তু মালাইকার বয়স ধরে রাখার করিশমায় পিছিয়ে অ্যাশ।
সোনাক্ষী সিনহা এবং শ্রদ্ধা কাপুর
একজন শক্তি কাপুরের কন্যা এবং আরেকজন শত্রুঘ্ন সিনহার মেয়ে। "আশিকি ২" দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন শ্রদ্ধা আবার সলমন খানের বিপরীতে "দাবাং" সিনেমা দিয়ে অভিষেক হয় সোনাক্ষী সিনহার। দু'জনেই বলিউডে অভিনয় দক্ষতা দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছেন। দু'জনের বয়স ৩৫ বছর। সমবয়সী হওয়া সত্ত্বেও সোনাক্ষীর তুলনায় শ্রদ্ধাকে বেশ ছোট মনে হয়।
" />কোন বলিউড অভিনেতারা রাতারাতি তারকা হয়ে উঠেছেন? জেনে নিন