অরিন্দমের হাত ধরে ফের সত্যান্বেষণে ফিরছেন বাঙালির কমপ্লিট ম্যান ব্যোমকেশ বক্সী
অরিন্দমের হাত ধরে ফের সত্যান্বেষণে ফিরছেন বাঙালির কমপ্লিট ম্যান ব্যোমকেশ বক্সী
ধুতি শার্ট, চোখে চশমা, ঋজু গড়ন আর চোখেমুখে বুদ্ধির ঝলক, কিছুটা এইভাবেই নিজের নায়ককে বর্ণনা করেছিলেন শরদিন্দু, কিন্তু তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন গোটা বাংলার নায়ক। নিয়ম মাফিক গোয়েন্দার তকমা থেকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে এসেছেন তিনি। কারণ তিনি শুধুই ডিটেক্টিভ নন, তিনি হলেন সত্যান্বেষী। বাংলা আর বাঙালি তাঁকে চেনেন ব্যোমকেশ বক্সী নামে। এতদিন পর্যন্ত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন আপামর বাঙালি দর্শককুল। অবশেষে সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। ফের সত্যের খোঁজে অপরাধের জগতে ফিরছেন ব্যোমকেশ।
অরিন্দমের ব্যোমকেশ
পরিচালক অরিন্দম শীল এই বছর নিয়ে আসছেন নতুন চমক। দর্শকদের জন্য বিশেষ সারপ্রাইজ দিতে দেখা যাবে তাঁকে। তবে সেটা যে স্বয়ং ব্যোমকেশ বাবুকে ময়দানে ফিরিয়ে এনে উপহার দেওয়া হবে, তা হয়ত ভাবতে পারেননি আপামর ভক্তকুল। অপেক্ষা শেষে আবার হিরোকে পুরনো অবতারে ফিরে পেতে চলেছেন দর্শকরা। বাংলার প্রিয় সত্য সন্ধানী ব্যোমকেশ বক্সীকে আবারও বড় পর্দায় আনতে ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনের সঙ্গে এবার হাত মিলিয়েছে এসভিএফ। আর এই ছবির প্রথম ছবি সামনে আসতেই উত্তেজনার পারদ ঊর্ধ্বমুখী বাঙালির।
বিশুপাল বধ
সাহিত্যিক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ব্যোমকেশ কাহিনীগুলির মধ্যে বেশ কিছু অসমাপ্ত ব্যোমকেশও রয়েছে। তারই মধ্যে অন্যতম হল বিশুপাল বধ। কিন্তু সেই অসমাপ্ত ব্যোমকেশকেই এবার সম্পূর্ণ রূপ দেবেন অভিনেতা তথা চিত্রনাট্যকার পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। এটি অরিন্দম শীলের পরিচালনায় চতুর্থ ব্যোমকেশ কাহিনীর চলচ্চিত্র রূপ। তবে ছবিটি এখনও শিরোনামহীন রেখেছেন পরিচালক।
আবিরের প্রত্যাবর্তন
পর্দায় ব্যোমকেশ মানেই বাঙালির অন্যতম পছন্দ হলেন আবির চট্টোপাধ্যায়। এবারে তিনিই আরও একবার পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে চলেছেন ব্যোমকেশ বক্সীকে। অরিন্দম শীলের পরিচালনায় 'হর হর ব্যোমকেশ', 'ব্যোমকেশ পর্ব' এবং 'ব্যোমকেশ গোত্রর পর পুনরায় সত্যান্বেষীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন আবির। পাশাপাশি সত্যবতীর চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে সোহিনী সরকারকেই।
এবার অজিত বদল
পর্দায় ব্যোমকেশ ও সত্যবতী এক থাকলেও কিছু বদল ঘটেছে অজিতের চরিত্রে। এতদিন আবিরের বন্ধু তথা গাইড অ্যান্ড ফিলোজফার হিসেবে দেখা যেত ঋত্বিক চক্রবর্তীকে। কিন্তু এই নতুন ছবিতে অজিত হিসেবে আসছেন অভিনেতা সুহত্র মুখোপাধ্যায়কে। ওটিটির দৌলতে এখন সুহত্র মুখোপাধ্যায় বেশ জনপ্রিয় মুখ। তাই এবার অজিত হিসেবে তিনি দশে দশ পান কিনা সেটাই দেখার।
গল্পের প্রেক্ষাপট
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই গল্প বিশুপাল বধ থেকে যতটুকু জানা যায় তা হল, এক সময় থিয়েটারে অংশগ্রহণ করার সখ মেটাতে গিয়ে প্রতিহিংসায় জড়িয়ে পড়ে ব্যোমকেশ। মঞ্চের উপরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার সাক্ষী থাকেন তিনি। তখনই এই কেসের রহস্য এবং সত্য উদ্ঘাটনে লেগে পরেন তিনি। তখনই ধীরে ধীরে সামনে আসে প্রেম ও বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা। এবার কীকরে সেই অসমাপ্ত কাহিনী সম্পন্ন করবেন পর্দার ব্যোমকেশ সেটাই দেখার।
ছবি সৌ:ইনস্টাগ্রাম