দেশপ্রেম নিয়ে হওয়া বলিউডের এই সিনেমাগুলি দেখে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করুন
এ বছরের স্বাধীনতা দিবস অন্য বারের তুলনায় একটু বেশি বিশেষ, কারণ এ বছর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' প্রচার চালানো হচ্ছে। যেখানে ভারত ৭৫ বছরের অগ্রগতি এবং তার সংস্কৃতি, মানুষ এবং কৃতিত্বের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে সম্মান ও উদযাপন করছে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট আমাদের দেশ ব্রিটিশদের শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল। যদিও সেই বহু কাঙ্খিত স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য ভারতের বহু বীর সন্তানকে আত্মবলিদান দিতে হয়েছে। সেই বীর গাঁথাই নানান ছবির মাধ্যমে উঠে এসেছে। একাধিক ছবি তৈরি হয়েছে বলিউডে দেশপ্রেম নিয়ে। দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু ছবির তালিকা।
বর্ডার
একদল যুবকদের দেশকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টার লড়াইকে দেখানো হয়েছে বর্ডারে। ১৯৭১ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলা লড়াইয়ের সত্য ঘটনাকে তুলে ধরা হয় এই সিনেমায়। ভারতীয় সেনাদের জীবনের পাশাপাশি দেশের জন্য তাঁদের আত্মত্যাগ চোখে জল এনে দেয়।
স্বদেশ
আমেরিকা থেকে ভারতের এক গ্রামে নিজের ঠাকুমার বাড়িতে এসে এক সফলতম ভারতীয় বিজ্ঞানী পুনরায় তাঁর শিকড়কে খুঁজে বের করে, এই সিনেমাটি বারবার দেখার জন্য অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত দেশের শিকড়ের জন্য গর্বিত বোধ করাবে।
উরি–দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক
ভারতীয় সেনাদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি এই সিনেমা। এখানে এই অপরেশন কীভাবে পরিচালিত হয়েছে এবং কীভাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয় তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এটি ১১টি অশান্ত ঘটনা বর্ণনা করে যেগুলির মধ্যে অপারেশনটি পরিচালিত হয়েছিল ৷ ভারতীয় সেনাদের ওপর জঙ্গিদের আচমকা হামলা চালানোর প্রতিশোধ হিসাবে দেশের সেনারা এই গোপন অভিযান চালান।
রাজি
এটি এক র'য়ের এজেন্টের কাহিনী অবলম্বনে তৈরি সিনেমা, যিনি বাবার অনুরোধে পাকিস্তানের সেনা কর্মীর সঙ্গে বিয়ে করেন, যাতে পাকিস্তানের সব তথ্য ভারতে পাচার করতে পারেন তিনি। ১৯৭১ সালের ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধের আগের ঘটনা এটি। ২০০৮ সালে হরিন্দর সিক্কার উপন্যাস সহমত-এর ওপর এই সিনেমা তৈরি করা হয়।
রং দে বসন্তী
রাকেশ ওম প্রকাশ মেহরা যেন ভারতবাসীকে দেশপ্রেমের একটা নতুন মানে বুঝিয়েছিল। ভগৎ সিং আর তাঁর ভাবনাকে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তুলে ধরা হয়েছিল। একদল কলেজ পড়ুয়া দেশের দুর্নীতি রুখতে পদক্ষেপ করেছিলেন। দারুন সাফল্য পেয়েছিল এই ছবিটি বক্স অফিসে।
লক্ষ্য
এই সিনেমার গল্প করণ শেরগিলকে নিয়ে, যাঁর জীবনে না আছে কোনও লক্ষ্য, শুধুই জীবনকে উপভোগ করাই করণের কাজ। তবে ভারতীয় সেনায় প্রবেশের পর করণের জীবনের মোড় পাল্টে যায়, সে সৈনিক হয়ে ওঠে। ফারহান আখতারের এই ছবি দারুণভাবে একজনের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর সফরকে বর্ণনা করেছেন।
চক দে ইন্ডিয়া
মহিলা হকি দলের কোচ হয়ে ফিরে আসেন ভারতীয় জাতীয় হকি টিমের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন কবীর খান। এই সিনেমায় এক কোচের সংঘর্ষকে দেখানো হয়েছে তাঁর টিমকে যোগ্য বানানোর জন্য এবং এর পাশাপাশি কবীর খানের ওপর যে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ উঠেছিল তাও মুছে যায় বিশ্বকাপে তাঁর মহিলা টিম যখন জয়ী হয়।
শেরশাহ
কারগিল যুদ্ধে শহিদ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার জীবনীর ওপর নির্ভর করে শেরশাহ সিনেমাটি তৈরি হয়েছে। এই সিনেমা দেখলে চোখের সামনে ভেসে উঠবে বাস্তবের বিক্রম বাত্রার ছবি।