অনলাইনে জিনিস কিনে প্রতারণার শিকার? জানেন কি এই উপায়ে ১০ দিনের মধ্যে খোয়ানো টাকা ফেরত আসবে
তবে এই পরিস্থিতিতে ঘাবড়াবেন না। ব্যাঙ্কে এই বিষয়ে জানালে ১০ দিনের মধ্যেই আপনার টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন। যদি সংশ্লিষ্ট ওই ব্যাঙ্ক আপনার অভিযোগ না নিতে চায় তাহলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের CMS পোর্টাল অর্থাৎ Complaint Management Syste
এখন সবাই অনলাইন শপিং করে থাকেন। আর এই অনলাইনে শপিং করতে গিয়েই প্রতারণার শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। মোটা অঙ্কের টাকা খোয়াতে হয়। এই অবস্থায় পুলিশের কাছে গিয়েও কোনও উপকার পাওয়া যায় না।
তবে এই পরিস্থিতিতে ঘাবড়াবেন না। ব্যাঙ্কে এই বিষয়ে জানালে ১০ দিনের মধ্যেই আপনার টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন। যদি সংশ্লিষ্ট ওই ব্যাঙ্ক আপনার অভিযোগ না নিতে চায় তাহলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের CMS পোর্টাল অর্থাৎ Complaint Management System এর মাধ্যমে আপনি আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন।
এরপরেও যদি ব্যাঙ্ক আপনার অভিযোগ না নিতে চায় তাহলে মোটা অঙ্কের জরিমানা ব্যাঙ্ককে করতে হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
RBI একাধিক ব্যাঙ্ককে জরিমানা করেছে
সম্প্রতি এই সমস্ত ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অনেক বেশি কড়া হয়েছে। গ্রাহকদের পাশে থেকে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তেমনই দুটি বড় ব্যাঙ্ককে সম্প্রতি মোটা অঙ্কের জরিমানা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ককে ১ কোটি টাকা এবং স্টেডার্ড চাটার্ড ব্যাঙ্ককে ১.৯৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে।
ব্যাঙ্কের গাফিলতির অভিযোগ
standard Chartered Bank বৈধ নয়, এমন লেনদেনের টাকা ফেরত দিতে গ্রাহককে অনেক হেনস্তা করে। শুধু তাই নয়, অনেক দেরি করেও টাকা ফেরত দেওয়া হয়। আর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পরেই চাটার্ড ব্যাঙ্ককে ১.৯৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে দেশের সবথেকে বড় কেন্দ্রীয় এই ব্যাঙ্ক। অন্যদিকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকেও মোটা অঙ্কের জরিমানা করে। SBI গ্রাহক ফ্রড সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে অনেক দেরি করে ফেলেছিল। আর সেই কারনে অভিযোগ জমা পড়ে। আর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পরে স্টেট ব্যাঙ্ককে ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে যে যদি গ্রাহকদের অভিযোগ না নেওয়া হয় কিংবা অহিজগের তদন্ত না করা হয় তাহলে জরিমানা করা হবে। অর্থাৎ ব্যাঙ্ক গ্রাহকদেরও অধিকার রয়েছে তাঁদের অধিকারের বিষয়ে জানার।
গ্রাহকদের সাবধান থাকাটাও প্রয়োজন
গ্রাহকদের অনলাইন শপিং কিংবা লেনদেনের সময়ে অ্যালার্ট থাকার খুব প্রয়োজন। তাহলে অনলাইনে যে কোনও ধরনের প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইনে শপিং করার সময়ে সবসময়ে খেয়াল রাখা উচিৎ যে কমিউটার কিংবা মোবাইলের মাধ্যমে কেনাকাটা করছেন তাতে যেন অ্যান্টিভাইরাস দেওয়া থাকে। শুধু থাকলেই হবে না, সেটিকে আপডেট রাখতে হবে। কোনও ধরনের পাসওয়ার্ড কমিউটার কিংবা মোবাইলে সেভ রাখা উচিৎ নয়। মত সাইবার বিশেষজ্ঞদের। তথ্য বলছে, করোনা অবস্থাতে অনলাইনে কেনাকাটা থেকে ব্যাবহার অনেক বেড়ে গিয়েছে। আর তাতে প্রতারনাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।