
এক মুঠো জিরেই করবে কেল্লাফতে, বাস্তুদোষ থেকে অর্থনৈতিক সমস্যা মিটে যাবে
জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমন অনেক প্রতিকার বলা হয়েছে যার ব্যবহার গ্রহকে মজবুত ও শান্ত করার জন্য প্রয়োগ করা হয়। জিরে কেবলমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই নয় এর সঙ্গে যুক্ত জ্যোতিষ প্রতিকারও বাড়ির জন্য বেশ উপকারি। এই উপায় করলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভর্তি হয়ে যায় এবং বাড়ির সদস্যদের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। অনেক জায়গায় মেয়েরা শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় পুঁটলি করে জিরে দান করে যায়। বিশ্বাস করা হয় যে এতে মেয়েদের শ্বশুরবাড়িতে কখনও ধন-ধান্যের কমতি হয় না। আসুন জেনে নেওয়া যাক জিরের এই কার্যকরা টোটকাগুলি ব্যাপারে যা সব প্রতিকূলতা দূর করে।

জিরের চমৎকারী টোটকা
শুক্রবার মা লক্ষ্মীর ছবি বা মূর্তির সামনে লাল রঙের কাপড় বিছিয়ে রাখুন। এখন এটায় এক মুঠো জিরে রেখে কিছু কয়েন রেখে দিন। মা লক্ষ্মীর পুজোর পর জিরে ও কয়েন কাপড়ে জড়িয়ে সেই জায়গায় রাখুন যেখানে আপনি আপনার অর্থ রাখেন। বিশ্বাস করা হয় যে এতে ঘরে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা থাকে। বিশেষ করে দিওয়ালীর রাতে ধন বৃদ্ধির জন্য দেবী লক্ষ্মীকে জিরে অর্পণ করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।

আর্থিক পরিস্থিতি ঠিক করতে
বারংবার চেষ্টা করার পরও যদি আপনার হাতে অর্থ না থাকে তাহলে জিরের এই টোটকা আপনার জন্য খুবই কার্যকর প্রমাণিত হবে। শুক্রবারের দিন একটি কাপড়ে একটু জিরে বেঁধে মন্দিরে মা লক্ষ্মীকে অর্পণ করুন। এরকম করলে আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হয়ে যাবে। এই উপায় সব ক্ষেত্রে সফলতা দেয় এবং আটকে থাকা কাজও সম্পূর্ণ হয়ে যায়।

নেতিবাচক শক্তি দূর করার জন্য
যদি আপনার আশেপাশে নেতিবাচক শক্তির উপস্থিতি অনুভব করেন বা আপনার ওপর কারোর খারাপ নজর পড়েছে তবে জিরের কিছু দানা নিয়ে নিজের ওপর সাত বার ঘুরিয়ে আগুনে ফেলে দিন। এরকম করলে নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়ে যায় এবং আশেপাশে ইতিবাচকতা চলে আসে।

সফলতা পেতে চাইলে
জীবনে যদি সফলতা পেতে চান, তাহলে অবশ্যই প্রতি বৃহস্পতিবার কাজে যাওয়ার আগে মুখে এক চিমটে জিরে চিবিয়ে খেয়ে যান, তাহলে দেখবেন আপনার জীবনে আর্থিক সমস্যা কোনও ভাবেই গ্রাস করতে পারবে না।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)