রাগ হলে কি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না! গণেশের পুজোর বিশেষ পন্থায় রয়েছে সমস্যার সমাধান
রাগ হলে কি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না! গণেশের পুজোর বিশেষ পন্থায় রয়েছে সমস্যার সমাধান
গণেশকে বলা হয় বিঘ্নহর্তা। বিভিন্ন বাধা বিঘ্নের ঝড়ের মাাঝেই গণেশ ভক্তকে রক্ষা করেন বলে কথিত রয়েছে শাস্ত্র। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, পরিবারে কেউ যদি বহু দিন ধরে অসুস্থতায় ভোগেন বা কোনও রকমের বিপদ বাধার কারণে নিজের কাজে সাফল্য পাচ্ছেন না, তাহলে সেই বিপদ কাটানো যায় গণেশের পুজোর দ্বারা। তবে এর জন্য রয়েছে বিশেষ পুজো পদ্ধতি। শুধু তাই নয়। গণেশকে যদি বিশেষ একটি উপায়ে পুজো করা যায়, তাহলে রাগ নিয়ন্ত্রণও সহজ হয়ে যায়! এমনই মত বিভিন্ন জ্যোতিষবিদদের। সামনেই রয়েছে গণেশ চতুর্থী। ১০ সেপ্টেম্বরের গণেশ চতুর্থীর আগে দেখে নেওয়া যাক এই সমস্ত সমস্যার সমাধান।
অসুস্থতা
চারিদিকে রয়েছে করোনা পরিস্থিতি। তারইমাঝে বর্ষার গমনকালে ভাদ্র মাসে বহু রোগ ভোগের সমস্যা দেখা দিচ্ছে চারিদিকে। বহু জায়গায় ভাইরাল জ্বর থেকে শুরু করে একাধিক অসুস্থতার ভুগছেন অনেকেই। এই অবস্থায় জ্যোতিষবিদরা বলছেন, গণেশের পুজো যদি শাস্ত্র মতে বিশেষ উপায়ে করা যায়, তাহলে মিটে যাবে অসুস্থতার সমস্যা। বাড়িতে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে থাকে, তাহলে গণেশের পুজোয় অবশ্যই পৈতে অর্পণ করুন। পরের দিন সেই পুজো হওয়ার পর পৈতেটি অসুস্থ ব্যক্তির মাথার কাছে রাখলে মেলে সুস্থতা। এমনই মতে বিশ্বসী বহু জ্যোতিষবিদ।
ঋণের বোঝা কাটাতে উপায়
কেউ যদি বহু দিন ধরে ঋমের বোঝার নিচে আটকে পড়েন, তাহলে তার বাধা বিঘ্ন হঠানোরও রয়েছে যথেষ্ট উপায়। বাড়িতে আনুন ক্রিস্টালের গণেশ। নিত্যদিনের পুজোয় এই গণেশকে দুধস্নান করান। আর পুজোর সময় এই গণেশের মূর্তিকে দুর্বাঘাস দিয়ে পুজো করুন। এতেই কেটে যাবে বহু বিপদ। কেটে যাবে ঋণের সমস্যা, জটিলতা। এমনই বলছেন বহু শাস্ত্রজ্ঞ।
কালসর্প দোষ
অনেকের কোষ্ঠীতেই রয়েছে কাল সর্পদোষ। জ্যোতিষ মতে এই কাল সর্প দোষের বিভিন্ন ধরনের প্রভাব থাকে জীবনে। সেই অনুযায়ী, বহু জ্যোতিষ তাঁদের বিভিন্ন টিপস দিয়ে থাকেন। তবে বলা হয়, গণেশ চতুর্থীর দিন যদি গণেশকে বোঁদের লাড্ডু দেওয়া হয়, তাহলে সই গণেশ বহু ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারবে। এর সঙ্গেই রোজ ১০৮ বার 'ওমন গণপতয়ে নমহ' মন্ত্র পাঠ করার কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি অবশ্যই এই মন্ত্র গণেশ চতুর্থীতে পাঠ করার কথা বলা হচ্ছে।
রাগ নিয়ন্ত্রণে গণেশ পুজো
যদি আপনি খুবই রাগী ব্যক্তি হয়ে থাকেন, বা ভিতর ভিতর রাগ হয়ে গেলে তা কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, তাহলে রয়েছে লম্বোদর গণেশকে লাল ফুল দিয়ে পুজো করা যেতে পারে। জ্যোতিষমতে বলা হয়, এভাবে গণেশকে পুজো করলে রাগ কমতে থাকে। ফলে সুফল মেলে জীবনে।
কয়েকটি টিপস
উল্লেখ্য, বহু জ্যোতিষিদ পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, যদি একটি গণেশ যন্ত্র দরজার মাথায় রাখা যায়, তাহলে বহু সমস্যা কেটে যায়। যদি গণেশ পুজোর হাত ধরে নিজের অসহায়তা কাটাতে চান, তাহলে নিত্যদিন ১০৮ বার গণেশ নাম জপ করলেও বহু সমস্যার সমাধান হয়। কোনও ইচ্ছা পূরণের জন্য গণেশের কাছে প্রার্থনা করলে দেবতার সামনে নারকেল ভাঙতে পারেন। এতে মেলে নানান সুবিধা ও ভালো ফল।
গণেশ চতু্র্থী কবে কখন পড়ছে?
১০ সেপ্টেম্বর পড়েছে গণেশ চতুর্থী। সেই দিন জাঁকজমক সহকারে গোটা দেশের বিভিন্ন অংশে পালিত হতে চলেছে গণেশ বন্দনা। বিশেষত শাস্ত্র মত পালন করে এই চতুর্থী ২ দিন ব্যাপী পালন করা হলেও,মহারাষ্ট্রে এই গণেশ বন্দনা ১০ দিন ধরে হয়। তারপর আসে অনন্ত চতুর্দশী পালন। এবারেও সেই নিয়মে করোনা বিধি পালন করে এই গণেশ বন্দনা পালিত হবে। যে দিনটিতে থেকে গণেশের পুজো শুরু হয়, সেই দিন থেকে ১০ দিনের পর এগারোতম দিনে ভাসান দেওয়া হয় গণপতির মূর্তির। এমন দিনটিতে 'অনন্ত চতুর্দশী' বলা হয়। এমন শুভ দিনে ভাসন দেওয়া হয় সমৃদ্ধির দেবতার মূর্তিকে।