নবরাত্রির সময় এই বাস্তু উপায়গুলি অবশ্যই করুন, মা দুর্গার সঙ্গে প্রসন্ন হবেন মা লক্ষ্মীও
দেশজুড়ে শারদীয় নবরাত্রি শুরু হয়ে গিয়েছে এবং দুর্গোৎসবের সূচনাও হয়ে গিয়েছে। এ বছর ৪ অক্টোবরে হবে নবরাত্রির বিসর্জন, এর পরের দিন ৫ অক্টোবর পুরো বিধি-বিধান মেনে মা দুর্গার প্রতিমার বিসর্জন করা হবে। বলা হয় যে যদি কোনও গরীব, অসুস্থ বা মানসিক অশান্তিতে ভুক্তভোগী তবে নবরাত্রির সময় বাস্তুর কিছু উপায় তাঁকে স্বস্তি দিতে পারে। এই উপায়গুলি করলে সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই এর বিশেষ প্রয়োগ এবং কীভাবে তা ব্যবহার করতে হয়।
লাল পতাকা লাগান
নবরাত্রির সময় দুর্গা মায়ের মন্দিরে গিয়ে লাল পতাকা লাগিয়ে আসুন। বলা হয় যে লাল রঙ মা দুর্গার খুব প্রিয় রঙ। আর এই রঙের পতাকা লাগালে পরিবারের ওপর মা দুর্গার কৃপা থাকে সর্বদা। এর পাশাপাশি ব্যক্তির সব আটকে থাকা কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়।
সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন বানিয়ে দিন
ঘরের প্রধান দরজায় প্রতিদিন নবরাত্রির সময় দু'পাশে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন। এরপর জলের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে তা অশ্বত্থ গাছে অর্পণ করুন। কথিত আছে যে এই উপায় বাড়িক নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ইতিবাচক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
প্রধান দরজায় অশোক বা আমপাতা টাঙান
শারদ নবরাত্রির সময় ঘরের প্রধান দরজা অশোক অথবা আমপাতা দিয়ে তোরণ সাজান। এরকম করলে এটি খারাপ শক্তিদের নষ্ট করে দিয়ে ঘরে অর্থ প্রবাহ বাড়ায়। এরকম করলে বাড়ির বাস্তুদোষও দূর হয়ে যায়।
পান পাতার উপায়
নবরাত্রির সময় পানপাতার দু'পাশে সর্ষের তেল লাগান। এরপর এই পাতা মা দুর্গাকে অর্পণ করুন এবং ভক্তভরে মায়ের কাছে প্রার্থনা করুন। পুজোর পর ওই পাতাটিকে নিজের মাথার কাছে রেখে ঘুমোন। এরকম করলে ব্যবসা ও চাকরির সমস্যা দূর হয়ে যায়।
এই উপায় করলে প্রসন্ন হন মা লক্ষ্মী
শারদ নবরাত্রির সময় মুখ্য দরজায় মা দুর্গার পায়ের চিহ্ন তৈরি করুন। এরকম মানা হয় যে এরকম করলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন এবং অর্থের বর্ষণ করেন। এর সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা সুস্থ থাকেন।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)