করোনা লকডাউন, সারা দেশে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট
করোনা লকডাউন, সারা দেশে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট
সারা দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাস লকডাউনে ব্যাপক সংকট তৈরি হয়েছে কৃষিক্ষেত্রে। মানুষের গতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেখানে ক্রেতার খোঁজ নেই। খোঁজ নেই পরিযায়ী শ্রমিকের। সবজি, ফল, ফুলের চাহিদা কমে যাওয়ায় সরকারের সাহায্যের আশায় কৃষকরা।
উত্তর প্রদেশ
প্রথমে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে এবং পরে মার্চে শিলাবৃষ্টিতে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এরপর করোনা ভাইরাস লকডাউনের জেরে দ্বিগুণ ক্ষতি। সেখানে রবি শস্যই হোক কিংবা মাঠে পড়ে থাকা আখ, লকডাউন চলতে থাকায় কীভাবে তা সংগ্রহ করা তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে কৃষকদের মধ্যে।
তবে এরই মধ্যে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের আশ্বাসে ৫ এপ্রিল থেকে চাষের কাজ শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে ২.৫ কোটি কৃষক আর তিন কোটি বেশি কৃষি শ্রমিক রয়েছে উত্তর প্রদেশে।
তামিলনাড়ু
কৃষকরা মনে করেছিলেন এবার ফসল বেঁচে বেশ কিছু লাভ হবে। কিন্তু লকডাউনের জেরে তাঁদের জীবনধারণই বদলে গিয়েছে। যেসব কৃশক তুলো, পিঁয়াজ, কলা কিংবা ফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের ধাক্কা সব থেকে বেশি। কলা ও ফুলের ক্ষেত্রে সময়মতো বেচার সুযোগ লাগে। কিন্তু লকডাউনের জেরে কিছুই করা যায়নি।
কেরল
লকডাউন কেরলের ধান চাষে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তবে প্রথমের দিকে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হলেও পরবর্তী সময়ে সরকারের পদক্ষেপে সবজি ও ধান চাষে সরকার হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু যে পরিমাণ চাষ হয়েছে আর সরকার যা সংগ্রহ করথে তার মধ্যে একটা ফাঁক রয়ে গিয়েছে।
মহারাষ্ট্র
কৃষিপণ্যের দাম ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছে। কৃষকরা কৃষিপণ্য জমিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিকবাজারে তুলোর দাম কমে যাওয়াতেও প্রভাব পড়েছে কৃষকদের ওপরে।
মধ্যপ্রদেশ
মধ্যপ্রদেশে লকডাউনের জেরে গম ও সবজি চাষীরা সংকটে পড়েছেন। একদিকে গমচাষীরা এবার পঞ্জাব থেকে সাহায্য পাননি অন্য দিকে সবজি চাষীরা দাম পাচ্ছেন না। গত বছরের সেপ্টেম্বর অক্টোবরে ব্যাপক বৃষ্টির জেরে মধ্যপ্রদেশের চাষীরা গমচাষের দিকে ঝুঁকেছিলেন। কিন্তু লকডাউনের জেরে হারভেস্টাররা এক জেলা থেকে অন্য জেলার যেতে পারছেন না।
পশ্চিমবঙ্গ
গতবারের অসম বর্ষার জেরে কৃষকরা মুশকিলে পড়েছিলেন। নভেম্বর ডিসেম্বরের বর্ষায় আলুচাষে ধাক্কা লেগেছিল। এবার ধাক্কা লাগল করোনা ভাইরাস লকডাউনের। এখন মাঠে রবিশস্য পড়ে রয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, ভিড় না বাড়িয়ে কয়েকজন করে মাঠে কাজের অনুমতি দেওয়া হবে।
অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, কর্নাটক, পঞ্জাবে, কমবেশি একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সিপিএম সম্পাদক পাশে দাঁড়ালেন মমতার! এক বৈঠকে ঘুরে গেল রাজনীতির পালের হাওয়া