প্রখর দাবদাহ থেকে বাঁচতে উত্তরাখণ্ডের এই জায়গাগুলিতে ঘুরে আসুন
প্রখর দাবদাহ থেকে বাঁচতে উত্তরাখণ্ডের এই জায়গাগুলিতে ঘুরে আসুন
সত্যিই যেন এই গরমে যেন আর সহ্য করা যাচ্ছে না। ভাবুন তো এই গরমে যদি ঠাণ্ডা জায়গায় ঘুরতে যাওয়া যেত তাহলে কেমন হতো। তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে ঘুরে আসুন উত্তরাখণ্ডের এই জায়গাগুলোতে দেখবেন এতে আপনার শরীর ও দুই জুরিয়ে যাবে।
নৈনিতাল
কুমায়ুনের কোলে অবস্থিত একটি ছোট্ট হ্রদ নৈনিকে করে এটি গড়ে উঠেছে। এর গভীরতা কিন্তু ২৭ মিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০৪৮ মিটার উঁচুতে এটি অবস্থিত। আর এই সৌন্দর্য দেখতে বারবার ছুটে আসেন পর্যটকেরা। উত্তরাখণ্ডের সবথেকে সুন্দর স্থানের মধ্যে এটি একটি।
ঋষিকেষ
অ্যাডভেঞ্চার ও প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য সবথেকে সুন্দর জায়গা হল ঋষিকেষ। গরমকালে ঋষিকেষ একবার হলেও ঘুরে আসুন। উত্তরাখণ্ডে ঘোরার জায়গার গুলির মধ্যে এটি একটি।
মুসৌরি
অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী ও হানিমুন করার জন্য সবথেকে ভালো জায়গা হল মুসৌরি। শরীরকে শীতল ও গ্রীষ্মের তাপ থেকে বাঁচতে এই জায়গায় একবার হলেও ঘুরে আসুন। বিশেষ করে গরম ও শীতকালেই পর্যটকেরা এখানে আসেন। এখানে অভয়ারণ্য আছে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকেরা।
মুক্তেশ্বর
উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলার একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে মুক্তেশ্বর বিখ্যাত। এটি একটি বিখ্যাত তীর্থস্থানও। কেউ কেউ একে মুক্তেশ্বর র্যা পেলিং, কেউ বা ট্রাকিং কেউ বা রক ক্লাইম্বিং বলে থাকেন। এর মনোরম দৃশ্য আপনাকে পাগল করে তুলবে।
চোপতা
জানেন কি চোপতাতে পৃথিবীর সবথেকে উচ্চতম শিব মন্দির রয়েছে। তীর্থক্ষেত্র ছাড়াও হিমালয় পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই জায়গাটি। এখানে এলে মন যেন উদাস হয়ে যায়। শান্ত জায়গা অর্থাৎ নিরিবিলি স্থান যারা পছন্দ করেন তারা অবশ্যই এই জায়গায় একবার ঘুরে যাবেন।
কেদারনাথ
কেদারনাথের কথা নতুন করে বলার আর কিছু নেই। এটি যে তীর্থস্থান তা তো সকলেই জানেন। কেদারনাথ মন্দিরের জন্য খুব বিখ্যাত। যারা ঠাকুরভক্ত, তাঁরাই এখানে আসুন। তাছাড়া ঘুরতে ভালবাসেন, তারা কেদারনাথ ভ্রমণ করুন। কেদারনাথ প্রধানত চারধাম যাত্রার জন্য বিখ্যাত। এখানে বৈদ্যনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী আছে।
রানিখেত
উত্তরাখণ্ডের আলমোরা জেলার অন্তর্গত রানিখেত নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও শান্ত পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। গরমকালে পর্যটকেরা এখানে ছুটে আসেন। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য। সেইসঙ্গে গরমের তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচতে আপনারাও একবার ঘুরে আসুন।
মুন্সিয়ারি
হিমবাহ ভ্রমণের জন্য মুন্সিয়ারি একবার যান, গেলে দেখবেন আর আসতে ইচ্ছা করছে না। যারা ট্রেকিং করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য সবথেকে ভালো জায়গা জায়গা হল মুন্সিয়ারি। এখানে কিন্তু হিমবাহের ট্রেকিং- এর অভিজ্ঞতাই অন্যরকম। যারা এতে অভ্যস্ত নন তারা কিন্তু এখানে এলে তা একদমই করবেন না। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে, যা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। তবে এখানে এলে অবশ্যই পাহাড়ের কোলে নন্দ দেবীর মন্দিরে একবার হলেও যাবেন।
আলমোরা
রানিখেত থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টার পথ আলমোরা। নিরিবিলি শান্ত জায়গায় যেতে গেলে একবার আলমোরা ঘুরে আসুন। পাহাড়ের উপর গড়ে ওঠা একটি ছোট্ট গ্রাম। যেখান থেকে একসঙ্গে দেখা দেয় নন্দাদেবী পঞ্চচুলি, নন্দকোট।
আউলি
গরমকালে অবশ্যই একবার আউলি যান। এখানকার ছোট্ট জঙ্গলগুলি শঙ্কু আকৃতির। শীতকালে এই আউলি বরফের চাদরে মোড়া থাকে। এখানে সৌন্দর্য ভাষায় বর্ণনা করা খুব কঠিন। এই আউলি থেকে মানা পর্বত, মাউন্ট, নন্দাদেবী দেখতে পাবেন। এখানে একটি মিষ্টি জলের গভীর হ্রদ আছে। এর চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ। গরমকালে অবশ্যই এখানে একবার ঘুরে যান। দেখবেন শরীর ও মন দুই'ই ভালো লাগবে।
শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম, হাতছানি দিয়ে ডাকছে বৃষ্টি ভেজা শিউলিবনা