ভারতের বুকে প্রথম প্যাংগং ফ্রোজেন লেক ম্যারাথন হতে চলেছে, আপনি তৈরি তো
ভারতের বুকে প্রথম প্যাংগং ফ্রোজেন লেক ম্যারাথন হতে চলেছে, আপনি তৈরি তো
ভারতের বুকে প্রথম প্যাংগং ফ্রোজেন লেক ম্যারাথন হতে চলেছে। ফেব্রুয়ারিতে প্যাংগং ফ্রোজেন লেক ম্যারাথনের প্রস্তুতি নিয়ে এখন সরগরম পরিস্থিতি। ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি লাদাখে ফ্রোজেন লেক ম্যারাথনের দিন নির্ধারণ হয়েছে। এই ম্যারাথনকে ভালবেসে বলা হয় 'দ্য লাস্ট রান'।
নামটি শুনতে ভয়ঙ্কর মনে হলেও এটি 'দ্য লাস্ট রান' নয় আদতে। এই 'দ্য লাস্ট রান' ভারতে প্রথম অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তবে এই ভয়ঙ্কর নামের সঙ্গে ভয়ঙ্কর হল বৈশ্বিক উষ্ণতা বা বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি। লাদাখের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের দ্বারা আয়োজিত এই 'দ্য লাস্ট রান' ম্যারাথনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতন করা হয়। এটি বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা তৈরির একচা প্রয়াস মাত্র।
২১ কিলোমিটার দীর্ঘ ম্যারাথন ভারতে প্রথম এবহং এর জন্য ভেন্যু বেছে নেওয়া উপযুক্ত। ভারতের বুকে হতে চলা প্রথম ম্যারাথনের জন্য ইতিমধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ম্যারাথনে চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে বরফ এবং ঠান্ডা। দৌড়বিদদের কাছে এটি বেশ কঠিন কাজ হয়ে উঠেছে। এই ম্যারাথনে দৌড়বিদদের একটা অভিযোজন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেক ১৩ হাজার ৮৬২ ফুট উপরে প্যাংগং লেক, সেখানে হতে চলেছে ম্যারাথন। এত উপরে এই প্রথম বিশ্বের কোনও ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। প্যাংগং লেকে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হলে তা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড হবে। প্যাংগং ফ্রোজেন লেক ম্যারাথনের পুরো ২১ কিলোমিটার প্রসারিত হবে। এটি সর্বকালের সবথেকে অত্যাশ্চর্য রান হতে চলেছে।
এখানে উল্লেখ্য, যে শুধুমাত্র সীমিত সংখ্যক দৌড়বিদ এই ম্যারাথনে নির্বাচিত হবেন। কারণ অঞ্চলটি পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল অঞ্চল। আগ্রহী দৌড়বিদদের ম্যারাথান প্যাকেজ বেছে নিতে হবে, যা লাদাখের রাজধানী লেহ থেকে আসা-যাওয়া প্রশিক্ষণ, থাকা, খাবার, বিমানবন্দরের খরচ অন্তর্ভুক্ত।
এই প্যাংগং লেকের অবস্থান ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ ও চিনের রুতোর প্রদেশের সীমান্তে অবস্থিত। এই হ্রদ ১৩৪ কিমি লম্বা, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ তিব্বতে অবস্থিত। এই হ্রদের পূর্বদিকটি তিব্বতের অন্তর্গত। পশ্চিম প্রান্তটি ভারতের অন্তর্গত। এই হ্রদটির সবথেকে স্থানটি ৫ কিলোমিটার বিস্তৃত। এই হ্রদের উপর দিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা গিয়েছে। এই হ্রদের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের অধিকার নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। বিতর্ক শুধু উত্তর তীরে অবস্থিত খুর্নক দুর্গ নিয়ে। ভারতের অধিকারে থাকা এই দুর্গ ১৯৬২ সালে চিন অধিকার করে নেয়। পূর্বদিকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা ভারত নিজের বলে দাবি করে।