উত্তরবঙ্গের এই 'অফবিট' গন্তব্যগুলিতে ঘুরে দেখুন রঙ বেরঙের অর্কিড ও পাহাড়ি ফুলের শোভা
ছুটি হাতে থাকলেই বাঙালির প্রথম পছন্দ বেড়াতে যাওয়া। আর সেই বেড়ানোর অফবিট গন্তব্য যদি হাতের কাছে থাকে তো আর কথাই নেই।
ছুটি হাতে থাকলেই বাঙালির প্রথম পছন্দ বেড়াতে যাওয়া। আর সেই বেড়ানোর অফবিট গন্তব্য যদি হাতের কাছে থাকে তো আর কথাই নেই। উত্তরবঙ্গে এমন কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে ২ থেকে ৩ দিনের রাত্রিবাস আপনার সমস্ত একঘেয়েমি কাটিয়ে দিতে পারে।
দেখে নেওয়া যাক এরকমই কয়েকটি জায়গা। যেখানে এক সপ্তাহের ছুটিতে আপনি ঘুরে নিতে পারেন।
লেপচাজগত
শহরের চেনা কংক্রিটের ঘোরাটোপ থেকে দূরে জঙ্গলে মোড়া এক আলাদা জগত এই লেপচাজগত। দার্জিলিং থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিতি জঙ্গল ঘেরা এই জায়গা। জঙ্গলের আনাচেকানাচে এখানে 'মেঘপিওনের' ঘোরাঘুরি!এজায়গা লেপচা উপজাতির মানুষদের বাস। বর্তমানে এই এলাকা জঙ্গলের আধিপত্যে রয়েছে। লেপচাজগতের একটা বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে রিজার্ভ ফরেস্ট। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদের কাছে এই জায়গা অবশ্যই ভালোলাগবার মতো।
[আরও পড়ুন:'হানিমুন'-এ সঙ্গীকে তাক লাগাতে চান! ঘুরে আসুন দেশের এই 'অফবিট' জায়গাগুলির একটিতে]
দওয়াইপানি
দার্জিলিং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দওয়াইপানি। এটি মূলত একটি হিমালয়ের গা ঘেঁসে গড়ে ওঠা একটি গ্রাম। কাঞ্চলজঙ্ঘাকে এখান থেকে অন্যরকম সুন্দর লাগে। এছাড়াও মাঞ্চি শৃঙ্গটি দেখার ইচ্ছা থাকলেও এই গ্রামে এসে কিছুদিন কাটিয়ে যাওয়া যায়।
রামধুরা
সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৫৫০০ ফুট ওপরের রয়েছে গ্রাম রামধুরা। সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মাঝে অবস্থিত এই গ্রাম পর্যটকদের ভিড়ে এখনও ভরে ওঠে না। পাহাড় ঘেরা এই গ্রামের পাশ দিয়ে তিস্তা কুলকুল গতিতে বয়ে যায়। গোটা গ্রাম জুড়ে পাহাড়ি ফুলের চাষ হয়। সবমিলিয়ে এই জায়গার প্রাকৃতিক শোভা দেখতে হলে দার্জিলিং থেকে যেতে হবে এখানে। সারা বছরই এই জায়গাটি বেড়ানোর পক্ষে ভালো। রয়েছে হোমস্টে। তবে বসন্তকালে এই জায়গার শোভাই আলাদা।
জোরপোখরি
দার্জিলিং থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জোরপোখরি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৪০০ ফুট ওপরে রয়েছে এক জলাশয় ঘেরা শহর জোরপখরি । এশহর লেপজগতের কাছেই। শহরের লেক বা জলাশয়ে পাখির আনাগোনা থাকে বলে এই শহরের নাম জরপখরি। এখানের জলাশয়ে প্রচুর হাঁসের আনাগোনা। এই শহরেও রয়েছে জঙ্গল, ধুপি ফরেস্ট।
দারাগাঁও
কালিম্পং থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দারাগাঁও গ্রামটি। মন মাতানো অর্কিড দেখতে হলে এই গ্রামে আপনাকে যেতেই হবে। এই গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির ছাদে দেখা যায় অর্কিড আর ফুলের চাষ। শান্ত প্রকৃতির বুকে এই রঙবেরঙের ফুল, যেন দারাগাঁওয়ের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়।