চাঁদ তৈরি হয়েছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই! এক শতাব্দী সময় লাগেনি, চাঞ্চল্যকর তথ্য গবেষণায়
চাঁদ তৈরি হয়েছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই! এক শতাব্দী সময় লাগেনি, চাঞ্চল্যকর তথ্য গবেষণায়
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ। সেই চাঁদ তৈরি হতে সময় লেগেছে মাত্র কয়েক ঘণ্টা! এতদিন যে ধারণা ছিল, চাঁদ তৈরি হয়েছে এক শতাব্দী ধরে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষকরা জানিয়েছেন এই প্রাকৃতিক উপগ্রহের উৎপত্তির গল্প। কীভাবে চাঁদ অন্ধকার আকাশকে মোহময়ী করে তুলেছে, তাও জানিয়েছেন গবেষকরা।
চাঁদ কীভাবে সৃষ্টি হল? উৎপত্তির রহস্য উন্মোচন
পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে চাঁদ। এই চাঁদ শুধু গ্রহের মূল বিকাশকেই নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং অন্ধকার আকাশে তার উজ্জ্বল চেহারা দ্বারা আমাদের মুগ্ধ করে। কিন্তু চাঁদ কীভাবে সৃষ্টি হল? প্রাকৃতিক উপগ্রহের উৎপত্তির রহস্যটি এখনও সম্পূর্ণরূপে উন্মোচন করা যায়নি। তা নিয়ে এখনও চলছে গবেষণা।
বিশাল সংঘর্ষের ফলে চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন হয়
তেমনই একটা গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সম্প্রতি। গবেষকরা এখন একটি নতুন তত্ত্ব তৈরি করেছেন, যা থেকে জানা গিয়েছে নতুন এক তত্ত্ব। এই তত্ত্বে জানা গিয়েছে, পৃথিবী এবং থিয়া নামে পরিচিত মঙ্গল-আকারের গ্রহাংশের মধ্যে বিশাল সংঘর্ষের ফলে চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন হয়েছিল।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চাঁদের প্রতিষ্ঠাপন হয়েছিল
ডারহাম ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফল কম্পিউটেশনাল কসমোলজির গবেষকরা সংঘর্ষের ঘটনার সর্বোচ্চ রেডোলিউশনের সিমুলেশন তৈরি করেছেন। এখানে দেখা গিয়েছে পৃথিবী ও থিয়া থেকে উপাদান বেরিয়ে সরাসরি কক্ষপথে স্থাপন হয়েছে। এবং তা হয়েছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে।
চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে গবেষণা
চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে গবেষণায় সুপার কম্পিউটার সিমুলেশন তৈরি করা হয়েছে, যা প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগের। বিভিন্ন প্রভাব, কোণ, গতি, গ্রহের ঘূর্ণন, ভর এবং আরও অনেক কিছুতে শত শত সংঘর্ষ চালানোর জন্য সুইফট ওপেন-সোর্স কোডে সিমুলেশনগুলি তৈরি করা হয়েছিল। তাঁদের পর্যবেক্ষণগুলি দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত হয়েছে।
পৃথিবীর একটি ধ্বংসাবশেষ থেকে চাঁদের উৎপত্তি
ওই দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, চাঁদ ঐতিহ্যগতভাবে প্রাথমিক অবস্থায় পৃথিবীতে একটি বিশাল প্রভাব দ্বারা নির্গত ধ্বংসাবশেষ থেকে এসেছে বলে মনে করা হয়। এই ধরনের মডেলগুলি সিস্টেমের কৌণিক ভরবেগ হিসেবে একই সময়ে পৃথিবী ও চন্দ্র শিলার অনুরূপ আইসোটোপিক রচনাগুলি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিক উপগ্রহের দৃশ্যকল্পে নতুন সম্ভাবনার সূচনা
গবেষকরা তাঁদের বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নিম্ন রেজোলিউশনের সিমুলেশনগুলি বৃহৎ-স্কেলে সংঘর্ষের ফলে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি মিস করতে পারে। যা আমাদেরকে গুণগতভাবে নতুন ধারণা পেতে সাহায্য করে। এই জাতীয় পর্যবেক্ষণ পূর্ববর্তী গবেষণা. সম্ভব ছিল না। তাৎক্ষণিক উপগ্রহের দৃশ্যকল্প নতুন সম্ভাবনার সূচনা করে। প্রাথমিক চন্দ্র কক্ষপথ ও অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য নিয়েও ব্যাখ্যা করেন গবেষকরা।