স্কাইরুটের বিক্রম-এস যাবে মহাকাশে, ভারতের বেসরকারি রকেট উৎক্ষেপণ বিলম্বিত
স্কাইরুটের বিক্রম-এস যাবে মহাকাশে, ভারতের বেসরকারি রকেট উৎক্ষেপণ বিলম্বিত
ভারত মহাকাশে রকেট পাঠাতে চলেছে সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে। স্কাইরুটের রকেট বিক্রম এস ১৫ নভেম্বর মহাকাশে পাড়ি দেবে বলে নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু তা খানিক বিলম্বিত হচ্ছে। তবে স্কাইরুটে তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে ভারতের মহাকাশযান বিক্রম-এস লঞ্চ করবে এই নভেম্বরেই।
বিক্রম এসের মহাকাশে যাত্রা একটি ঐতিহাসিক মিশন হিসেবে গণ্য হতে চলেছে ভারতে। এর আগে ভারত বেসরকারি উদ্যোগে কোনও রকেট পাঠায়নি মহাকাশে। দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি রকেট বিক্রম-এস মহাকাশে পাঠাচ্ছে স্কাইরুট অ্যারোস্পেস। তার প্রথম মিশন চালু করতে খানিক বিলম্ব হচ্ছে।
বিক্রম এস ভারতের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি উন্নতমানের রকেট। এখন ১৫-১৯ নভেম্বরের মধ্যে তিনটি পেলোড-সহ একটি প্রযুক্তিগত প্রদর্শনী ফ্লাইটে উৎক্ষেপণ করবে। স্কাইরুট এর আগে ঘোষণা করেছিল এই মিশন চালু হবে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর। আপাতত চারদিন পিছিয়ে যাচ্ছে স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের মহাকাশ-যাত্রা।
শ্রীহরিকোটার ইন্ডিয়া স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরোর সতীশ ধাওয়ার স্পেস সেন্টারের থেকে সম্পূর্ণ দেশীয় রকেট সিস্টেমে ভবিষ্যণ মিশনের নকশা যাচাই করার জন্য মিশনটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ হবে। ভারতের প্রথম ব্যক্তিগত রকেট বিক্রম এস ১৯ নভেম্বরের মধ্যে সংশোধিত উইন্ডোতে শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিক্রম এস মহাকাশে পাড়ি দেবে প্রদর্শনী ফ্লাইট হিসেবে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এই মহাকাশ মিশনের নেপথ্যে রয়েছে। নকশা এবং উৎক্ষেপণে প্রযুক্তিগত সাহায্য করছে তাঁরা। সংস্থার তরফে মিশনটি ১৯ নভেম্বরের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থাটি ইন-স্পেসের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত উৎক্ষেপণের ছাড়পত্র পেয়েছে। স্পেস-টেক প্লেয়ারদের প্রচার ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশের নোডাল সংস্থা এই ছাড়পত্র দিয়েছে। স্কাই রুটের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিড সিরেশ পাল্লিকোন্ডা বলেন, এটি তিনটি গ্রাহকের পেলোড-সহ একটি প্রদর্শনী ফ্লাইট। স্কাইরুট বিক্রম-এস রকেটের তিনটি রূপ তৈরি হয়েছে। বিক্রম ১ লো আর্থ অরবিটে ৪৮০ কিলোগ্রাম পেলোড বহন করতে পারে। বিক্রম-২ ৫৯৫ কিলোগ্রাম কার্গো নিয়ে উঠতে পারে। আর বিক্রম-৩ ৮১৫ কেজি নিয়ে লো আর্থ অরবিটে উৎক্ষেপণ করতে পারে।
স্পেস কিডস ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীরা এটি তৈরি করেছে। তা অবিলম্বে দেশের বাণিজ্যিক মহাকাশ ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক তৈরি করবে। এখন এই মিশন সফল করাই স্কাইরুটের লক্ষ্য। এরপর আরও বড় ভাবনা রয়েছে এই সংস্থার। ৮০ প্রপালশান সিস্টেম দ্বারা এটি চালিত হবে, যা পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১২০ কিলোমিটার উচ্চতায় তিন পর্যায়ের রকেটটিকে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
নাসা আর্টেমিস মুন মিশনের যাত্রা শুরু বুধে, চাঁদে মানব অভিযানের দুয়ার খুলবে তৃতীয় প্রচেষ্টায়