চাঁদ সম্পর্কে পাঁচটি আকর্ষণীয় তথ্য, যা জানা দরকার নাসার মানব মিশনের আগে
চাঁদ সম্পর্কে পাঁচটি আকর্ষণীয় তথ্য, যা জানা দরকার নাসার মানব মিশনের আগে
সম্প্রতি আবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা। ৫০ বছর পর আবার চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন কোনও নভশ্চর। সেই লক্ষ্যেই নাসা শুরু করেছে আর্টেমিস মিশন। যে চাঁদ আমাদের রাতের আকাশকে মোহময়ী করে তোলে, তার উদ্দেশ্যে পৃথিবীর মহাকাশ যানের যাত্রা শুরুর আগে, চাঁদ সম্পর্কে পাঁচটি আকর্ষণীয় তথ্য, যা সকলেরই জেনে রাখা দরকার।
চাঁদের একটি বায়ুমণ্ডল আছে
প্রচলিত ধারণা ছিল চাঁদের কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। অর্থার চাঁদের পৃষ্ঠে কোনও গ্যাস নেই। নাসার অ্যাপোলো ১৭ মিশনের সময় নাসা চাঁদে লুনার অ্যাটমোস্ফেরিক কম্পোজিশন এক্সপেরিমেন্ট যন্ত্র মোতায়েন করা হয়েছিল। সেই যন্ত্রেই আবিষ্কার হয়েছে চাঁদের পৃষ্ঠে হিলিয়াম, আর্গন, নিয়ন, অ্যামোনিয়া, মিথেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড রয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু পরমাণু ও অণু। গ্যাসের একটি খুব পাতলা স্তর রয়েছে। ফলে একেবারেই বায়ুমণ্ডল নেই বলা চলে না। পৃথিবীর মতো ঘন নয় চাঁদের বায়ুমণ্ডল।
চাঁদ সঙ্কুচিত হচ্ছে, ফলে কম্পন অনুভূত
উপগ্রহের অভ্যন্তর ঠান্ডা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদ সঙ্কুচিত হয়। নাসা জানিয়েছে, বিগত কয়েকশো মিলিয়ন বছর ধরে চাঁদের ব্যাস ৫০ মিটারেরও বেশি কমে গিয়েছে। এই সংকোচন আঙুর কুঁচকানোর মতে। এখানে উল্লেখ্য, চন্দ্র-স্পৃষ্ঠ খুব বেশি নমনীয় নয়। বরং বেশ ভঙ্গুর। সংকুচিত হওয়ার ফলেই চাঁদে থ্রাস্ট ফল্ট হয় অর্থাৎ ভূত্বকের একটি অংশ অপর অংশের উপরে উঠে গিয়েছে। নাসার বিশ্লেষণে এর প্রমাণও মিলেছে যথার্থ। এবং তা প্রমাণ করেছে চাঁদে কম্পণ অনুভূত হয়।
এখন পর্যন্ত ১২ নভশ্চরের চাঁদে পা
১৯৬৯ সালে চাঁদের মাটিতে প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল নভশ্চরদের। তারপর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মোট ১২ জন মহাকাশচারী চাঁদের মাটিতে হেঁটেছেন। এর মধ্যে প্রথমেই নাম করতে হয় নীল আর্মস্ট্রং। তারপর বাজ অলড্রিন, চার্লস কনরাড, অ্যালান বিন, অ্যালান শেপার্ড, এডগার মিচেল, ডেভিড স্কট, জেমস আরউইন, জন ইয়ং, চার্লস ডিউক, ইউজিন সারনান ও হ্যারিসন স্মিট। অ্যাপোলো মহাকাশচারীরা মোট ৩৮২ কিলোগ্রাম চন্দ্র শিলা ও মাটি নিয়ে এসেছেন পৃথিবীতে। বিজ্ঞানীরা এখনও চাঁদের এই নমুনাগুলি নিয়ে গবেষণা করছেন।
চাঁদে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ
চাঁদের ল্যান্ডস্কেপ একটি মরুভূমির মতো। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, চাঁদের ওই মাটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে, যা মহাকাশ মিশনের সময় সংগ্রহ করা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে হাইড্রোজেন, তা রকেট চালানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। আছে বরফ, যা হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনে বিভক্ত করা যেতে পারে। হিলিয়াম আইসোটোপ পারমানবিক শক্তি সরবরাহ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। চাঁদের এই সম্পদের আধিপত্য অর্জনের জন্য চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শামিল হয়েছে।
চাঁদের দ্বিমুখী প্রকৃতি
পৃথিবীর
একমাত্র
উপগ্রহ
হল
চাঁদ।
পৃথিবীর
চারপাশে
ঘুরতে
যতটা
সময়
নেয়,
ততটাই
তার
অক্ষ
পথে
ঘুরতে
সময়
লাগে।
সেই
কারণে
আমরা
চাঁদের
একটি
দিক
দেখতে
পাই।
সেটি
হল
কাছের
দিক।
বিপরীত
দিক
অর্থাৎ
দূরের
দিক
আমরা
দেখতে
পাই
না।
দূরের
দিকটা
চিরকালই
আমাদের
থেকে
দূরেই
রয়ে
গিয়েছে।
২০১৯
সালে
চিন
প্রথম
দেশ
হয়ে
চাঁদের
দূরের
দিকে
একটি
মহাকাশযান
অবতরণ
করাতে
সফল
হয়।
চাঁদের
ওই
দুই
দিকে
দুইরকম
প্রকৃতি।
চাঁদের
দুই
দিকে
তাপমাত্রা
পরিবর্তিত।
যদিও
চাঁদের
রৌদ্রজ্বল
দিক
ফুটন্ত
জলের
থেকেও
বেশি
গরম।
তাপমাত্রা
১২৩
ডিগ্রি
সেলসিয়াস
পর্যন্ত
হতে
পারে।
আবার
মেরু
প্রদেশে
তাপমাত্রা
২৩৩
ডিগ্রি
সেলসিয়াস
পর্যন্ত
নেমে
যায়।
চিনের নতুন ৩ চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা, চাঁদের মাটিতে স্ফটিকের সন্ধানে চ্যালেঞ্জ নাসাকে