সন্ধ্যার আকাশে আলোকছটা আসলে কী, আলোর উৎস নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা
সন্ধ্যার আকাশে মোহময়ী আলোর রোশনাই অবাক করে দিয়েছিল মহাকাশপ্রেমীদের। বাংলার শহর থেকে বিভিন্ন জেলায় দেখা গিয়েছিল সেই আলো। যে আকাশ থেকে আলোর ঝরনা নেমে আসছে।
সন্ধ্যার আকাশে মোহময়ী আলোর রোশনাই অবাক করে দিয়েছিল মহাকাশপ্রেমীদের। বাংলার শহর থেকে বিভিন্ন জেলায় দেখা গিয়েছিল সেই আলো। যে আকাশ থেকে আলোর ঝরনা নেমে আসছে। বা মনে হতে পারে কেউ যেন আকাশ থেকে সার্চ লাইট জ্বেলে কিছু খুঁজছে। সেটা কী? তা নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়ে গিয়েছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
সেই থেকেই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কী বলছেন তারা, কোনও কি স্থির সিদ্ধান্তে তাঁরা পৌঁছেছেন! রহস্যজনক আলোর উৎস কী, তা জানতে কৌতুহলের অন্ত নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে। আমচকা একটা আলো আকাশে দেখা গেল, তা আবার নিভে গেল, সেই অদ্ভুত আলো নিয়ে সমানে চলছে অনুসন্ধান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আকাশে দেখা যায় ওই অদ্ভুত আলো। তা কোথা থেকে এল, কীসের আলো সেটা, তা নিয়েই রহস্য ঘনাচ্ছে। মিনিচ খানের স্থায়ী ছিল ওই আলো। আকাশ ভেদ করে আসা আলো কিন্তু নেহাতই সাধারণ কিছু নয়! তাহলে সেটা কী, সেই কৌতুহলের কি অবসান ঘটাতে পারবেন বিজ্ঞানীরা!
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুসারে আরও জানা গিয়েছে যে, বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই আলোটিকে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছেন, ওই আলো চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো না থাকলেও, তা কৌতুহল উদ্রেক করার জন্য যথেষ্ট ছিল।
জ্যোতি্বিজ্ঞানীরা জানান, ওই ধরনের আলো তিনটি কারণে দেখা যেতে পারে সন্ধ্যার আকাশে। ওই আলো দেখা গিয়েছে আকাশের দক্ষিণ দিকে। প্রথমত, ওই আলো উল্কাপাতের কারণে হতে পারে। আর এখন উল্কাবৃষ্টির সিজন। এই সময় জেমিনিড উল্কা-ঝরনা দেখা যায়। তবে এটি জেমিনিড উল্কা ঝরনা নয়, সে ব্যাপারে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত।
দ্বিতীয় যে সম্ভাবনা উঠে এসেছে, এটা রকেটের কোনও অংশ হতে পারে। আলোটি বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে গিয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন। কোনও রকেটের জ্বালানি ফুরিয়ে এলে তা ওইভাবে দেখা যেতে পারে। তার একটি ছোটো অংশ পৃথিবীর দিকে আসছে, সেটি দেখা যেতে পারে ওইরূপ মোহময়ী আলোক ঝরনা রূপে।
আর তৃতীয় সম্ভাবনাটি হল, কোনও জায়গা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়ে থাকতে পারে। তার আলোও ওইভাবে বিচ্ছুরিত হতে পারে। তবে ক্ষেপণাস্ত্র হলে তা মিলিয়ে যাওার আগে আরও দীর্ঘ সময় দেখতে পাওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তা দেখা যায়নি। তাই আরও কোনও রহস্য এর মধ্যে রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। অনুসন্ধান এখনও চলছে।