পেট্রাপোল সীমান্তে নারী পাচার! পাচারকারী দলের খপ্পর থেকে নাটকীয় ভাবে উদ্ধার বাংলাদেশী মহিলা
পেট্রাপোল সীমান্তে নারী পাচার! পাচারকারী দলের খপ্পর থেকে নাটকীয় ভাবে উদ্ধার বাংলাদেশী মহিলা
যৌনপেশা, ভিক্ষাবৃত্তি বা বন্ডেড লেবার একাধিক কাজের জন্য করোনাকালে ক্রমেই বাড়ছে মানব পাচারের পরিমাণ। এরজন্য অনেক ক্ষেত্রেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তকে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। বর্তমানে এমনই একটি মানব পাচারকারী দলের হাত থেকে এক বাংলাদেশী মহিলাকে উদ্ধার করল সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ।
করোনাকালে বেড়েছে মানবপাচার
এদিকে গতমাস থেকেই ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড চেক পয়েন্টে (আইসিপি) বারংবার মানবপাচারের অভিযোগ সামনে। এদিকে করোনা সংক্রমণের ভয়ে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে রাজ্যে তথা দেশের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র পেট্রাপোল স্থলবন্দর।
বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়েই পাচার
সূত্রের খবর, বর্তমানে উদ্ধার হওয়া মহিলা বাংলাদেশের গয়া বান্দা জেলার বাসিন্দা। গত বছরের জুলাই মাসে তার এক বন্ধুর সাথে ওই মহিলাকে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গের ভিথারি সীমান্ত ফাঁড়িতে কর্মরত বিএসএফ জওয়ানেরা।
বিশেষ অভিযানে নামে বিএসএফ
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার দুপুরেই বিশেষ অভিযানে নামে বিএসএফ-র সেনা জওয়ানেরা। সেই সময় ওই মহিলাকে ফের বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছিল বলে খবর। ওই মহিলার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকারও বেশি সোনার গহনা উদ্ধার হয়েছে খবর। পাশাপাশি অভিযানের সময় তরিকাল গাজী (৩১) নামে এক ভারতীয় দালালকেও আটক করা হয়।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এক বছর আগে এক বন্ধুর সাথে পাচার
পরবর্তীতে পুলিশি জেরায় গাজী স্বীকার করে ভারত-বাংলাদেশে সীমান্ত এলাকায় সে দীর্ঘদিন থেকেই একাধিক মানবপাচার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। গাজীর বক্তব্য অনুসারে, তার বন্ধু আলমগীর ওই বাংলাদেশি মহিলাকে তার হাতে তুলে দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত (আইবি) পার করে দেওয়ার কথা বলে। অন্যদিকে পুলিশি জেরায় ওই মহিলাও স্বীকার করে প্রায় একবছর আগে এই পাচারচক্রের পাণ্ডারাই তাকে ভারতে পাচার করে দেয় তার এক বন্ধু সাথে।
পাচারের পর পাঠানো হয় সোনাগাছিতেও
ভারতে পাচার হবার পর সীমান্ত লাগোয়া বনগাঁতে তারা প্রায় ১ মাস ছিল বলেও জানা যায়। তারপর সেখান থেকে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় সোনাগাছিতে। সেখানেও তারা ১৫ দিন ছিল বলে জানা যাচ্ছে। পরবর্তীতে সেখান যৌন পেশার কাজে ব্যাঙ্গালুরুতে পাঠানো হয় থাকে।
স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দু-জনকেই
এদিকে গত আট মাস বেঙ্গালুরুতে থাকাকালীন ঘটনাচক্রে এক কাস্টমারের সঙ্গে প্রেমের সুবাদে ফের এক দালাল ধরে বাংলাদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল ওই মহিলাই। এর জন্য কির্তি নামে পাচার দলের সদস্য এক ক্যাব ড্রাইভারকে সে ১০ হাজার টাকা দেয় বলেও জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমানে ওই ভারতীয় দালাল ও বাংলাদেশী মহিলাকে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
করোনার করাল থাবায় কাবু ভারতীয় অর্থনীতি! চলতি অর্থবর্ষে কতটা কাটতে পারে মন্দার মেঘ ?