ভুল ওষুধ খাইয়ে বধূ-হত্যার অভিযোগ হাওড়ায়, উঠে এল পণের দাবিতে নির্যাতনের তত্ত্বও
ভুল ওষুধ খাইয়ে অন্তঃসত্ত্বা বধূকে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মৃত গৃহবধূর নাম মনোরমা সোনকার। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মনোরমার মৃত্যুর পরই তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের দাবি তোলা হয়েছে।
হাওড়া, ২১ অক্টোবর : ভুল ওষুধ খাইয়ে অন্তঃসত্ত্বা বধূকে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মৃত গৃহবধূর নাম মনোরমা সোনকার। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মনোরমার মৃত্যুর পরই তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। মনোরমার বাপের বাড়ির অভিযোগ, মনোরমার জ্বর হয়েছিল, পরিকল্পিতভাবে ক্যানসারের ওষুধ খাইয়ে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
আলিপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যায় মনোরমার বাপের বাড়ির লোকজন। পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে গেলেও তারা পালিয়ে যায়। এই মৃত্যুর পিছনে রহস্য রয়েছে বলেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে তাঁদের দাবি।
২০০৫ সালে হাওড়ার গুলমোহরের অমিত সোনকারের সঙ্গে বিয়ে হয় গোলাবাড়ির মনোরমার। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে শুরু হয় মনোরমার ওপর অত্যাচার। এক বছরের মধ্যেই স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করেন মনোরমা। তবে সবকিছু মিটিয়ে আবার তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু নির্যাতনে ইতি পড়েনি।
২০০৮-এ ফের বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু আবারও শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেন মনোরমা। তারপর ২০১১ সালে তিনি প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আবারও তিনি অন্তঃসত্ত্বা। অভিযোগ, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মনোরমার পেটে লাথি মারা হয়। তারপরই কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে অভিযোগ, বাড়িতে থাকাকালীন মনোরমাকে দেওয়া হয় ক্যানসারের ওষুধ। তারই জেরে ভুল ওষুধ প্রয়োগের ফলে মৃত্যু হয় তাঁদের মেয়ের। মনোরমার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দায়ী করে সুবিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। ময়নাতদন্ত করলেই সব সামনে এসে যাবে বলে দাবি মনোরমার বাপের বাড়ির।