বাড়ি নীল-সাদা করানোর টাকা কি গৌরী সেন দেবেন না পুরসভা? প্রশ্ন বাড়িওয়ালাদের
করছাড়
দিয়ে
যে
পুরসভার
যে
আর্থিক
ক্ষতি
হবে
সে
টাকা
যোগাবে
কে,
প্রশ্ন
উঠেছে
তা
নিয়েও।
বিজেপির
পশ্চিমবঙ্গ
শাখার
সভাপতি
রাহুল
সিনহার
কথায়,
দেউলিয়া
পুরসভার
এত
কর
ছাড়
দেওয়ার
কি
আছে?
বিজেপি
পুরসভার
ওই
সিদ্ধান্তের
প্রতিবাদে
আদালতের
দ্বারস্থও
হতে
পারে
বলেও
জানিয়েছেন
তিনি।
আরও
পড়ুন
:
'দিদি'র
রঙে
রঙ
মেলাতে
হবে,
তাহলেই
সম্পত্তি
কর
মুকুব!
আবার অনেকে বলছেন, একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের কিছুটা সুবিধা করিয়ে দেওয়ার জন্য়ই এমন 'অনৈতিক' সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পুরসভা। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমানবাবু স্পষ্ট কথায় জানিয়েছেন, বাড়ি রং করার জন্য একটি নির্দিষ্ট রং বেছে দিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে তোষণের পাশাপাশি কিছু লোককে রং সরবরাহের বরাত দিয়ে পকেট ভারি করে দেওয়ার ছুঁতো এসব।
পুরসভা যখন দেউলিয়া, তখন এত ছাড় কিসের জন্য, প্রশ্ন রাহুল সিনহার
বিমানবাবু আরও বলেন, পুরসভার এই ধরণের সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে কখনও ঠিক না। এ সরকারের আমলে নিজের বাড়ির রং নিজে বাছার অধিকারও এবার হারাতে হচ্ছে মানুষকে।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের সাদা-নীল রংয়ে শহরের একাধিক ফ্লাইওভার, ব্রীজ, রাস্তার ডিভাইডার রাঙানোর কাজ শুরু হয়েছিল। শহরের ঐতিহ্যশালী ভবনগুলিও সাদা-নীলে ঢাকতে চেয়েছিলেন মমতা, কিন্তু নানা বিরোধের মুখে পড়ে আপাতত তা করে উঠতে পারেননি।
এদিকে যেই কলকাতা বাসীর উপকারের বাহানা দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পুরসভার তার পক্ষে খুব একটা খুশি হতে পারছেন না বাড়ির মালিকরাও। একটা বাড়ির বাইরের দিকটা নীল-সাদা রং করতে যত খরচ, সম্পত্তি কর দিতে গেলে খরচ পড়বে তার অনেক কম। তাহলে এটা আর সুবিধা কোথায় হল প্রশ্ন একাংশের। বাড়ি রং করানোর টাকাটা কে দেবে, সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। অনেকের কথায়, যাদের বাড়ি ইতিমধ্যেই সাদা-নীল রংয়েরই রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সুবিধা হতে পারে। যদিও পুরসভার নতুন সিদ্ধান্তে একথা বলা নেই যে, বাড়ি যদি আগে থেকে নীল-সাদা রংয়ের হয় তাহলে সেক্ষেত্রে করছাড় থাকবে কী থাকবে না।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে অবশ্য নিজেদের সপক্ষে কোনও যুক্তি না এনে বামাদের পুরনো জমি লিজ বিতর্কের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, 'চোরের মায়ের বড় গলা।'