কার হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন সৌমিত্র খাঁ! পিছনের গেম মেকার কে
দলীয় নেতৃত্ব ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগের ফিরিস্তি দিয়ে দল ছেড়ে বিজেপির পথে পা বাড়িয়েছেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
দলীয় নেতৃত্ব ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগের ফিরিস্তি দিয়ে দল ছেড়ে বিজেপির পথে পা বাড়িয়েছেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। দিল্লিতেই বিজেপি হাইকম্যান্ডের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তিনি। তারপর সেখানেই গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন সৌমিত্র।
এক্ষেত্রে কার হাত ধরে বিজেপি শিবিরের কাছাকাছি হলেন সৌমিত্র, সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। তবে দিল্লিতে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায়কে সঙ্গে দেখেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সৌমিত্র। মুকুলই জানিয়েছেন, সৌমিত্র বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। আরও ৫-৬জন তৃণমূল হেভিওয়েট নেতা এই তালিকায় রয়েছেন বলেও খবর সামনে এসেছে।
মুকুল রায়ের হাত ধরেই উত্থান হয়েছে সৌমিত্র খাঁ-র। মুকুলের খাস লোকেদের একজন বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। সৌমিত্রদের মতো অনেকের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরও তলে তলে যোগাযোগ রেখে গিয়েছেন মুকুল। আর সেই সুবাদেই বারবার দাবি করে এসেছেন, তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট দল ছাড়ার জন্য তৈরি হয়ে রয়েছে। সৌমিত্রকে এনে মুকুল প্রমাণ করে দিলেন, ফ্লুক ছিল না তাঁর দাবি।
মুকুল রায় যে খেলাটা তৃণমূলের হয়ে খেলতেন সেভাবেই দল ভাঙানোর খেলা বিজেপিতে যোগ দিয়েও খেলছেন। সেকথা ভালোভাবে জানে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেকথা জানতে পেরে হুঁশিয়ারি দেন একটা সময়।
তৃণমূল সূত্রে খবর, সৌমিত্রর কাজে মুখ্যমন্ত্রী খুশি ছিলেন না। ২০১৯ লোকসভা ভোটে টিকিট নাও পেতে পারেন। এমন আশঙ্কাও করেছিলেন সৌমিত্র। যা মাথায় রেখেই এগোচ্ছিলেন তিনি। এবং শেষ অবধি একসময়ের রাজনৈতিক গুরু মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগেই বিজেপিতে প্রবেশের পথ প্রশস্ত হয়েছে। আগামী লোকসভা ভোটে এবার সম্ভবত টিকিট পেতে সৌমিত্রর অসুবিধা হবে না। আর বিজেপিরও দল ভারী হল।